আইপিএল ২০২০-এর উদ্বোধনী ম্যাচে ৪৮ বলে ৭১ রানের ইনিংস নজর কেড়েছে বিশেষজ্ঞদের
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক২৫ মে, ২০১৪। রাজস্থানের ১৮৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে গেলে মুম্বইকে ১৫ ওভারের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। না হলে বিদায়। আক্রমণ শুরু হলো। মাত্র পাঁচ ওভারের মধ্যে ৬০ রান উঠলেও দু’উইকেট পড়ে গেল। রায়ুডু যখন নামলেন তখন দশম ওভার চলছে। স্কোরবোর্ডে চার উইকেট ১০৮ রান। এরপর কোরি অ্যান্ডারসন (৪৪ বলে ৯৫ অপরাজিত) ও রায়ুডু (১০ বলে ৩০) পরের ৩১ বলে ৮১ রান যোগ করে ম্যাচ বের করে দেন। মুম্বই মাত্র ১৪.৪ ওভারে ১৯৫ তুলে প্লে-অফে জায়গা করে নেয়।
১৩ মে, ২০১৮। এবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের হয়ে অনবদ্য ১০০ (অপরাজিত) করেন রায়ুডু। পরের ম্যাচে দল হারলেও তিনি ৫০ রান করেছিলেন। কিন্তু তারপর?
শেষ ২১ ম্যাচে মাত একটি অর্ধশতরান আইপিএলে। ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন রায়ুডু। ২০১৯ সালে নেমে যান ৩০ নম্বরে।
বারবার লড়ে ফিরেছেন অনূর্ধ্ব -১৯ ভারতীয় দলের হয়ে খেলা তৎকালীন উঠতি ক্রিকেটার রায়ুডু। ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার’-এর শেষ বছরের সেরা ক্রিকেটার পুরস্কার পাওয়া রায়ুডু আইসিএল না খেললে অনেক আগেই ঢুকতে পারতেন জাতীয় দলে। এমনকি প্রথম আইপিএলেও খেলেননি। পরে বোর্ড ক্ষমা করে ফিরিয়ে নেয় এই হায়দরাবাদীকে।
২০১৮ সালেই তাঁর আইপিএল পারফরম্যান্স প্রশ্ন তোলে যে কেন তিনি জাতীয় দলে অনিমিয়ত। ৫৩ গড় থাকলেও একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ৭৫। দলে ফেরার পর স্ট্রাইক রেট ৭৯-তে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু গড় নেমে গিয়েছিল ৪৭-এ। আইপিএলেও পারফরম্যান্স আশানুরূপ হয়নি। গত বিশ্বকাপে বাদ পড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। যদিও পড়ে অবসর ভাঙেন কিন্তু অন্য দেশে খেলবেন বলে।
শনিবারের চেন্নাই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৪৮ বলে ৭১ আবার তাঁকে পাদপ্রদীপের আলোয় এনেছে। যে স্ট্রাইক রেট তাঁকে ভুগিয়েছে সেই স্ট্রাইকরেট শনিবার ছিল ১৪৭। যা তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের স্ট্রাইক রেটের (১২৬) থেকে অনেকটাই বেশি। আরব মুলুকের আইপিএলে রায়ুডুর কেরিয়ার আরব্য রজনীর মতো মোড় নেয় কি না সেটাই এখন দেখার।