কাজে লাগল না মায়াঙ্কের লড়াই; প্রশ্ন উঠছে আম্পায়ারিং নিয়ে
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কতিন বলে চাই এক রান। প্রথম বল ডট। পরের দু’বলে দু’উইকেট। এভাবেই নিশ্চিয় জেতা ম্যাচকে সুপার ওভারে নিয়ে গেল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। আর সেখানেই ডাহা ফেল তারা। সুপার ওভারে মাত্র দু’রান তুলতেই পড়ে গিয়েছিল দু’উইকেট। প্রয়োজনীয় তিন রান তুলতে সমস্যায় পড়েনি দিল্লি ক্যাপিটালস।
শুরু থেকেই পেন্ডুলামের মতো দুলেছে ম্যাচ। বল হাতে রীতমতো আগুন ঝরাচ্ছিলেন মহম্মদ শামি। প্রথম চার ওভারের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ’ এবং শিমরন হেটমায়ার। চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দিল্লিকে কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (৩৯) এবং ঋষভ পন্থ (৩১)। কিন্তু দশ রানের মধ্যে পন্থ, শ্রেয়স এবং অক্ষর পটেলকে ফিরিয়ে ফের ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে পাঞ্জাব। দিল্লির রান তখন ছ’উইকেটে ৯৬। ইনিংসের ২৩ বল বাকি। সেখান থেকে ২১ বলে ৫৩ রানের চোখধাঁধানো ইনিংস খেলে দিল্লিকে ১৫৭ রানে পৌঁছে দেন মার্কাস স্টইনিস। ইনিংসের শেষ ওভারে ৩০ রান দেন ক্রিস জর্ডন। যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। শামির (৩/১৫) পাশাপাশি বল হাতে নজর কেড়েছেন শেল্ডন কট্রেল (২/২৪) এবং অভিষেককারী রবি বিষ্ণোই (১/২২)।
প্রথম উইকেটে ৩০ রান তুলে পাঞ্জাব শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু পরবর্তী ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায় তারা। ফিরে অধিনায়ক কে এল রাহুল (২১), করুণ নায়ার (১), নিকোলাস পুরান (০), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১) এবং সরফরাজ খান (১২)। একই ওভারে করুণ এবং পুরানকে ফিরিয়ে জোর ধাক্কা দিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু নিজের বলে ফিন্ডিং করতে গিয়ে বাঁ-কাধের হাড় সরে যায় তাঁর। ফলে ওই একটি ওভারের পর আর বল করতে পারেননি। কিন্তু উইকেটের একদিক সামলে পাঞ্জাবকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৬০ বলে ৮৯ রান)। জয় থেকে তখন এক রান দূরে পাঞ্জাব। হাতে তিন বল। তারপরেই ভরাডুবি।
তবে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠছে আম্পায়ারিং নিয়ে। পাঞ্জাব ইনিংসের ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে দু’রান নিয়েছিলেন মায়াঙ্ক এবং জর্ডন। কিন্তু এক রান ‘শর্ট’ বলে রায় দেন আম্পায়ার নীতিন মেনন। টাই হওয়া ম্যাচে যা নিয়ে বড় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
প্রশ্ন উঠছে পাঞ্জাবের দল নির্বাচন নিয়েও। ক্রিস গেইলের বদলে এদিন পুরানকে দলে নিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু ম্যাচ এবং সুপার ওভার, দু’বারেই কোনও রান করতে পারেননি তিনি।