৩২ রানে শেষ আট উইকেট পড়ল হায়দরাবাদের; নজর কাড়লেন চাহল এবং পাড়িক্কল; বিধ্বংসী এবিডি
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক‘ক্রেজি কোল্যাপস!’ এভাবেই নিজের বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন ধারাভাষ্যকারদের বক্সে বসা কেভিন পিটারসেন। করবেন না-ই বা কেন! রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ছুঁড়ে দেওয়া দেওয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৫ ওভার শেষে দু’উইকেটে ১২১ রান তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জেতার জন্য শেষ পাঁচ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। হাতে আট উইকেট। টি-২০ ক্রিকেটে এই অবস্থা থেকে জয় না পাওয়া নেহাতই অঘটন। আর সেই অঘটনটাই এদিন ঘটিয়ে দেখাল ডেভিড ওয়ার্নারের দল। ১২১/২ থেকে ১৫৩ রানে অল আউট।
সানরাইজার্সকে ভাঙতে এদিন মুখ্য ভূমিকা নিলেন যুজবেন্দ্র চাহল। ভয়ঙ্কর হতে থাকা জনি বেয়ারস্টোকে (৪৩ বলে ৬১ রান) প্যাভিলিয়নে ফেরালেন তিনিই। পরের বলেই গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড বিজয় শঙ্কর। এরপর আর কোনও জুটিই গড়তে পারেনি হায়দরাবাদ। বল করতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মিচেল মার্শ। বেগতিক দেখে ১০ নম্বরে খোঁড়াতে থাকা মার্শকেই পাঠাতে বাধ্য হন ওয়ার্নার। কিন্তু কোনও চালই কাজে দেয়নি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কেন উইলিয়ামসন-হীন হায়দরাবাদ ব্যাটিং লাইন-আপ।
ব্যাঙ্গালোরকে শক্ত ভিতে দাঁড় করানোর কাজটা করে দিয়ে গিয়েছিলেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ৪২ বলে ৫৬ রানের চোখজুড়ানো ইনিংস সাজানো আটটি বাউন্ডারি দিয়ে। উইকেটের উল্টোদিকে ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু পাড়িক্কলের সামনে অনেকটাই ফিকে দেখাল তাঁকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে বেশকিছু নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন পাড়িক্কল। এবার আইপিএলেও নিজের ছাপ রাখলেন। গত দু’মরশুমের মতোই এবারও কোহলির গেরো হয়ে থাকল হায়দরাবাদ। আর ইনিংসের শেষদিকে ব্যাঙ্গালোরের রানকে দেড়শোর গণ্ডি পার করে দেন এবি ডে ভিলিয়ার্স। দুর্ভাগ্য, ৩০ বলে ৫১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস মাঠে বসে দেখতে পারলেন না কোনও দর্শক।