চিন্তায় রাখছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হতশ্রী রেকর্ড; নেতৃত্ব বদলের পক্ষপাতী গাভাসকর
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক২০০৮ সাল। প্রথম আইপিএল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচের আগে নাইটদের শিবিরে এসেছিলেন দলের অন্যতম মালিক শাহরুখ খান। বলেছিলেন, “তোমাদের কাছে কখনও কিছু চাইনি। এই ম্যাচটা আমার জন্য জিতে দেখাও।“ ওয়াংখেড়ের সেই ম্যাচে মাত্র ৬৭ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দল। সাড়ে পাঁচ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নাইটদের চূড়ান্ত লজ্জায় ফেলেছিল মুম্বই।
লজ্জার ইতিহাসের সেই শুরু। নীতা আম্বানির দলের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ২৫ টি ম্যাচ খেলেছে কেকেআর। ছ’টি জয়। হার ১৯ ম্যাচে। এর মধ্যে ২০১৪ আইপিএলে দু’টি ম্যাচেই জিতেছিলেন গৌতম গম্ভীররা।
বুধবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২০ অভিযান শুরুর আগে এই রেকর্ডই চিন্তায় রাখছে দীনেশ কার্তিকদের। টিম কম্বিনেশন নিয়েও চলছে পারমুটেশন-কম্বিনেশন। ওপেনিং-এ সুনীল নারাইনের সঙ্গী হতে পারেন টম ব্যান্টন। মিডল অর্ডারে শুভমান গিল, নীতিশ রানা, ইয়ন মর্গ্যান, দীনেশ কার্তিক এবং আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু এই দল নামালে প্যাট কামিন্স এবং লকি ফার্গুসনকে ছাড়াই নামতে হবে নাইটদের। কারণ, চার বিদেশির কোটা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে, ব্যান্টনের বদলে গিল বা রাহুল ত্রিপাঠী ওপেন করতে পারেন। নাইটদের থিঙ্কট্যাঙ্ক চিন্তায় রয়েছে ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বর জায়গা নিয়েও।
নাইট অধিনায়ককে চাপে রাখছে সুনীল গাভাসকরের মন্তব্যও। গত দু’মরশুম সেভাবে রান পাননি কার্তিক। সমালোচনার মুখে পড়েছে তাঁর নেতৃত্বের ধরণও। যে প্রসঙ্গে সানির মত, কার্তিক পারফর্ম করতে না পারলে নেতৃত্ব বদল করার বিষয়ে ভাবুক কেকেআর। কারণ, দলে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মর্গ্যান রয়েছেন।
অন্যদিকে, মুম্বই শিবির অনেকটাই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। দলে বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে দলের টিম ম্যানেজমেন্টের একাংশ চাইছে জেমস প্যাটিনসনের বদলে ন্যাথান কুল্টার-নাইলকে খেলাতে। কারণ, কুল্টার-নাইল লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে যথেষ্ট কার্যকরী। তবে রোহিত শর্মা এবং কুইন্টন ডি কককে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেন শিবম মাভি এবং কমলেশ নাগরকোটি। দু’জনেই টানা ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার বেগে বল করতে পারেন। আবু ধাবির অসমান বাউন্সের পিচে যা বেকায়দায় ফেলতে পারে রোহিতদের।
দু’দলই ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিপক্ষ ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারদের মাথায় রেখে। আন্দ্রে রাসেল এবং কিয়েরন পোলার্ড। খুনে মেজাজে যাঁরা একার হাতেই ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন। তবে রাসেল হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলের বিরুদ্ধে খুব একটা স্বচ্ছন্দ নন। সেই জায়গাতেই ট্রেন্ট বোল্ট এবং জসপ্রীত বুমরাকে কাজে লাগাতে চাইছেন রোহিত। অন্যদিকে, পোলার্ডকে আটকানোর জন্য কার্তিকের বাজি হতে পারেন কুলদীপ যাদব।