কলকাতার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন পাইকপাড়ার হয়ে
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক‘রাহুল, নাম তো সুনা হি হোগা!’ এমনটাই কি ভাবছিলেন এক-একটা ছয় মারার পর? রাহুল তেওটিয়া। হঠাৎ করে ‘টক অফ দ্য কান্ট্রি’ হয়ে ওঠা হরিয়ানার ২৭ বছরের যুবক। যিনি গত সাত বছরে মাত্র সাতটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন।
রবিবার রাজস্থান রয়্যালস যখন কিংস ইলেভেনের ২২৪ তাড়া করতে শুরু করে তখন প্রথম দিকে দ্রুতই রান তুলছিল তারা। স্মিথ (২৭ বলে ৫০) যখন আউট হন তখন ন’ওভারে তিন অঙ্কে দল পৌঁছেছে। কিন্তু রাহুল তেওটিয়া এতটাই মন্থর ব্যাটিং করছিলেন যে স্যামসন তাঁকে স্ট্রাইক দিতে ভয় পাচ্ছিলেন। একইরকম ভাবছিলেন উথাপ্পাও। শেষ ১৮ বলে যখন দরকার ৫১ রান, যার একটা ওভার করবেন শামি (তখন ৩-০-৩৪-৩), সেই সময় কট্রেলের বলে পরপর চারটি ছয় মারলেন রাহুল। একটি বল বাদ দিয়ে আবার ছয়। ওভারে মোট ৩০। পরের ওভারে আর্চার দু’টি ও রাহুল একটি করে ছয় মারেন শামি কে। খেলা ওখানেই শেষ হয়ে যায়। কারণ, শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র পাঁচ রান। রাহুল ২৩ বলে ১৭ থেকে পৌঁছে যান ৩১ বলে ৫৩ রানে।
কে এই রাহুল? বয়সভিত্তিক খেলায় হরিয়ানার সবচেয়ে সফল অলরাউন্ডার (অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে অনুর্দ্ধ-২৩ পর্যন্ত মোট ৪৫ ম্যাচে ৩৩ গড়ে ২১০০-এর বেশি রান, সঙ্গে ২২ গড়ে ১৮৩ উইকেট)। রাহুল বড় ক্রিকেটে নজর টানতে এতদিন ব্যর্থই ছিলেন। নেপথ্যে সঠিক সুযোগের অভাব। ঘরোয়া একদিনের ম্যাচ বা টি-২০ খেলায় তাঁর অর্ধশতরান থাকলেও প্রথম শ্রেণির খেলায় নেই। প্রথম শ্রেণির খেলায় ইনিংসে পাঁচ উইকেট থাকলেও ঘরোয়া একদিনের ম্যাচে সেই কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। সুযোগের সন্ধানে বছর তিনেক আগে এসেছিলেন কলকাতায়। খেলেছিলেন পাইকপাড়ার হয়ে। তবে নিয়মিত গুগলি দেওয়ার ক্ষমতা ও চালিয়ে খেলার প্রবণতা তাঁকে বারবার আইপিএলে জায়গা করে দিয়েছে। এতদিন পর তিনি সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন। যুবরাজের ছয় ছক্কা না হলেও (যা যুবরাজকে স্বস্তি দিয়েছে, টুইটারেই তা স্পষ্ট) রাহুল জানিয়েছেন যে তিনি চাইলেই মারতে পারবেন ছয় ছক্কা।