ব্যর্থ ঈশান-পোলার্ডের পাল্টা আক্রমণ; দুরন্ত ইনিংসে আবু ধাবি মাতালেন এবি
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কশেষ পাঁচ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯০ রান। ম্যাচ সেখানেই পকেটে পুরে নিয়েছিল বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যে নিজেরাই এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে তা অতি বড় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সমর্থকও আশা করেননি। টি-২০ ক্রিকেটে রেকর্ড গড়ে শেষ পাঁচ ওভারে ৮৯ রান তুলেছিলেন ঈশান কিষাণ এবং কিয়েরন পোলার্ড। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দু’দলেরই রান দাঁড়িয়েছিল ২০১। কিন্তু সুপার ওভারে সাত রানের বেশি তুলতে পারেনি মুম্বই। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন কোহলিরা।
বিশেষজ্ঞদের অবাক করেছে মুম্বইয়ের কামব্যাক। ২০২ রান তাড়া করতে গিয়ে পাওয়ার প্লে-র শেষে রোহিতদের রান ছিল দু’উইকেটে ৩৫। রানরেট ছয়েরও নিচে। ১০ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৬৩/৩। আর ১৪ ওভারের শেষে ৯৮/৪। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ওভারের তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান থেকে এক কদম দূরে ছিলেন ঈশান। কিন্তু পঞ্চম বলেও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিডউইকেট ধরা পড়েন তিনি। ঈশানের ৫৮ বলে ৯৯ রানের ইনিংস সাজানো দু’টি চার এবং ন’টি ছয় দিয়ে। বিধ্বংসী মেজাজে থাকা পোলার্ড অর্ধশ্তরান পূর্ণ করেন মাত্র ২০ বলে। জেতার জন্য শেষ বলে দরকার ছিল পাঁচ রান। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ টাই করেন পোলার্ড (২৪ বলে ৬০ রান)। মাত্র ৫১ ভলে ১২১ রান যোগ হয় ঈশান-পোলার্ডের জুটিতে।
যাঁদের ব্যাটিং নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ ছিল সেই দুই অধিনায়ক বিরাট কোহলি (১১ বলে তিন রান) এবং রোহিত শর্মা (আট বলে আট রান) ব্যর্থ। ব্যাঙ্গালোর ইনিংসকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল দেবদত্ত পাড়িক্কল (৪০ বলে ৫৪) এবং অ্যারন ফিঞ্চের (৩৫ বলে ৫২) ওপেনিং জুটি। শেষদিকে ১৭ বলে ৪৭ রান যোগ করে কোহলির দলকে দু’শোর গণ্ডি পার করে দেন এবি ডে ভিলিয়ার্স (২৪ বলে ৫৫ রান অপরাজিত) এবং শিবম দুবে (১০ বলে ২৭ অপরাজিত)। এর মধ্যে জসপ্রীত বুমরার বিরুদ্ধে আট বলে ২৭ রান করেন এবি।
এই প্রথমবার সুপার ওভারে হার মানতে হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। অন্যদিকে, চলতি আইপিএলে দু’বারই সুপার ওভারে জয় হাসিল করল ব্যাঙ্গালোর।