• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

হারের মধ্যেই বিতর্ক পাঞ্জাব শিবিরে

বেয়ারস্টো (৯৭), রশিদের (৩/১২) দাপটে জিতল হায়দরাবাদ

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

চলতি আইপিএলের পয়েন্ট টেবলে একেবারে তলানিতে রয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ছ’ম্যাচের পাঁচটিতে হার। বৃহস্পতিবারও তাদের ৬৯ রানে হার হজম করতে হল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু হারের থেকেও বেশি বড় হয়ে উঠল বিতর্ক। নেপথ্যে ডিআরএস।

পাঞ্জাব ইনিংসের ১৪ তম ওভার। খলিল আহমেদের বলে মুজিব-উর রহমানের বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন উঠেছিল। আম্পায়ার আউট দেননি। তারপরেই লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে পৌঁছনোর আগে বল বাউন্স করেছিল কি না। তৃতীয় আম্পায়ার জানান, বল ঠিকমতোই ক্যাচ ধরেছেন বেয়ারস্টো। আউট দেওয়া হয় মুজিবকে। ডাগ-আউটে যেতে যেতে হঠাৎ ফিরে আ্সেন মুজিব। রিভিউয়ের আবেদন জানান। ডিআরএসের পরও আউট দেওয়া হয় তাঁকে।

এখানেই উঠছে প্রশ্ন। প্রথমত, কেন তৃতীয় আম্পায়ার প্রথমেই দেখলেন না যে বল ব্যাটে লেগেছে কি না? দ্বিতীয়ত, বল হওয়ার পর ১৫ সেকেন্ড পেরিয়ে গেলেও কেন মুজিবের রিভিউয়ের আবেদন গ্রাহ্য হল? তৃতীয়ত এবং সবচেয়ে বিতর্কিত অংশ, মুজিবের আচরণে পরিষ্কার যে ডাগ-আউট থেকে রিভিঊ নেওয়ার সংকেত পেয়েছিলেন তিনি। যা পুরোপুরি আইন-বহির্ভূত। নিয়ম অনুযায়ী, রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নন-স্ট্রাইকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যাটসম্যান। সেখানে ডাগ-আউটে থাকা খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা টিভিতে বারবার রিপ্লে দেখার সুযোগ পান। অতীতে একইরকম কাণ্ড ঘটিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ।

তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা বেশি অবাক অন্য কারণে। পাঞ্জাবের কোচিং স্টাফ হিসাবে রয়েছেন অনিল কুম্বলে, জন্টি রোডসের মতো প্রাক্তনরা। যাঁরা নিজেদের পেশাদার জীবনে খেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল? প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরাও।

ডেভিড ওয়ার্নার (৪০ বলে ৫২) এবং বেয়ারস্টোর (৫৫ বলে ৯৭) দাপটে দুর্দান্ত শুরু করেছিল হায়দরাবাদ। ১৫ ওভারের শেষ দলের রান ছিল বিনা উইকেটে ১৬০। সেখান থেকে পরপর উইকেট খুইয়ে ২০ ওভার শেষে তাদের রান দাঁড়ায় ছ’উইকেটে ২০১। অর্থাৎ, শেষ পাঁচ ওভারে ছ’উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪১ রান। পাঞ্জাবের পক্ষে বল হাতে সফল রবি বিষ্ণোই (৩/২৯)।

পাঞ্জাব শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। নিকোলাস পুরান (৩৭ বলে ৭৭) দুর্দান্ত চেষ্টা করলেও বাকিদের থেকে কোনও সাহায্য পাননি। মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন পুরান। যা চলতি আইপিএলের দ্রুততম। দলের বাকিদের মধ্যে শুধু কে এল রাহুল (১১) এবং সিমরন সিং (১১) দু’অঙ্কের রান পেয়েছেন। পাঞ্জাবের ইনিংস্কে ভাঙতে মুখ্য ভূমিকা নেন রশিদ খান (৩/১২)। সফল খলিল (২/২৪), নটরাজনরাও (২/২৪)।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top