অর্ধশতরান ডি কক ও সূর্যকুমারের; হ্যামস্ট্রিং-এর চোটে এক সপ্তাহ বাইরে ঋষভ
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কআবু ধাবির পিচে রান তাড়া করে জয়! প্রায় অসম্ভব সেই কাজই করে দেখাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রবিবার তারা পাঁচ উইকেটে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেটে ১৬২ রান তুলেছিল দিল্লি। জবাবে দু’বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বই।
দিল্লি ইনিংসের তৃতীয় বলেই পৃথ্বী শ’-কে (৪) ফরয়ে দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। এদিনই চলতি আইপিএলে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া অজিঙ্ক রাহানে শুরুটা করেছিলেন সাড়া জাগিয়ে। কিন্তু ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (৩৩ বলে ৪২) এবং শিখর ধাওয়ান (৫২ বলে ৬৯ অপরাজিত) প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দিলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ক্রুনাল পাণ্ড্য (২/২৬), জসপ্রীত বুমরা (০/২৬), রাহুল চাহরদের (০/২৭) আঁটোসাঁটো বোলিং-এর সামনে সেভাবে স্ট্রোক খেলতে পারেননি শ্রেয়স, শিখররা।
মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৫) এদিনও ব্যর্থ। কিন্তু দলকে কোনওরকম বিপিদে পড়তে দেয়নি কুইন্টন ডি কক (৩৬ বলে ৫৩) এবং সূর্যকুমার যাদবের (৩২ বলে ৫৩) কার্যকরী ইনিংস। চার নম্বরে নামা ঈশান কিষাণও ১৫ বলে ২৮ রান করেন। হার্দিক পাণ্ড্য (০) রান না পেলেও শেষ কাজটুকু সারতে বেগ পেতে হয়নি ক্রুনাল (৭ বলে ১২ অপরাজিত) ও কিয়েরন পোলার্ডকে (১৪ বলে ১১ অপরাজিত)। দিল্লির কাগিসো রাবাদা ২৮ রানে দু’উইকেট নেন। এই নিয়ে আইপিএলে টানা ২০ ম্যাচে উইকেট পাওয়ার নজির গড়লেন প্রোটিয়া পেসার।
খেলা শুরুর আগেই অবশ্য ধাক্কা খেয়েছিল দিল্লি। হ্যামস্ট্রিং-এর চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। আরও অন্তত এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে, জানিয়েছেন শ্রেয়স। তার জেরেই টিম কম্বিনেশন বদলে অ্যালেক্স কেরিকে খেলাতে বাধ্য হয়েছিল দিল্লি। ফলে দলের বাইরে যেতে হয়েছিল শিমরন হেটমায়ারকে।
রবিবারের জয় আরও একবার পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে নিয়ে এল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। দিল্লির মতোই তাদেরও পয়েন্ট ১০। কিন্তু নেট রানরেট এগিয়ে রাখছে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।