জয়ের মধ্যেও চিন্তায় রাখছে অধিনায়কে কাঁধের চোট
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কসানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন। তারপরেই বিহু নাচে দর্শকদের মাতিয়েছিলেন রিয়ান পরাগ। যা খুশি করেছিল তাঁর রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রীকেও। কিন্তু বিহুর ছন্দ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যটিতেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং বার্বাডোজ, ইংল্যান্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আরব মুলুকে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের ড্রেসিংরুমেও। বুধবার যার প্রমাণ দিলেন বার্বাডোজ-জাত ব্রিটিশ পেসার জোফ্রা আর্চার। ম্যাচের প্রথম বলেই ছিটকে দিয়েছিলেন পৃথ্বী শ’র স্টাম্প। আর তারপরেই রিয়ানের মতো বিহুর তালে কোমর দোলালেন আর্চার।
তবে আর্চারের আনন্দ দীর্ঘথায়ী হয়নি। তিনি নিজে দুরন্ত ছন্দে থাকলেও এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হার হজম করতে হল তাঁর দল রাজস্থান রয়্যালসকে। প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৬১ রান তুলেছিল দিল্লি। জবাবে আট উইকেটে ১৪৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি রাজস্থান।
পৃথ্বী (০) এবং অজিঙ্ক রাহানে (২) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর ইনিংস মেরামতির কাজ শুরু করেন শিখর ধাওয়ান এবং অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৮৫ রান যোগ করেন দু’জনে। ৩৩ বলে ৫৭ রান করে আউট হন শিখর। শ্রেয়স করেন ৪৩ বলে ৫৩ রান। কিন্তু তাঁরা দু’জন ফিরে যেতেই দিল্লির রান তোলার গতিতে ভাঁটা পড়ে। মার্কাস স্টয়নিস (১৯ বলে ১৮), অ্যালেক্স কেরিরা (১৩ বলে ১৪) আটকে যাওয়ায় শেষ চার ওভারে ২৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি দিল্লি। ১৯ রানে তিন উইকেট নেন আর্চার। ৩২ রান দিয়ে জয়দেব উনাদকটের শিকার তিন।
ওপেনিং জুটিতে তিন ওভারে ৩৭ রান তুলে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন বেন স্টোকস এবং জস বাটলার। কিন্তু বাটলার (৯ বলে ২২), স্টিভ স্মিথ (৪ বলে ১) এবং স্টোকস (৩৫ বলে ৪১) ফিরে যেতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজস্থান। স্টোকস যখন আউট হন তখন জেতার জন্য ৫৮ বলে ৭৬ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। কিন্তু ক্রমশ মন্থর হতে থাকা পিচে রাজস্থান ব্যাটসম্যানদের কার্যত কোণঠাসা করে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১/১৭), কাগিসো রাবাদারা (১/২৮)। তাঁদের তৈরি করা চাপ কাজে লাগিয়ে উইকেট তুলে নেন আনরিখ নর্টিয়ে (২/৩৩), তুষার দেশপাণ্ডেরা (২/৩৭)। সঞ্জু স্যামসন (১৮ বলে ২৫), রবিন উথাপ্পা (২৭ বলে ৩২), রাহুল তেওয়াটিয়ারা (১৮ বলে ১৪ অপরাজিত) দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি।
তবে জয়ের মধ্যেও খারাপ খবর দিল্লি শিবিরে। অমিত মিশ্র, ইশান্ত শর্মা, ঋষভ পন্থের পর এবার চোটের তালিকায় খোদ অধিনায়ক। এদিন ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে চোট পান তিনি। বাধ্য হন মাঠ ছাড়তে। ম্যাচের পর শিখর জানান, শ্রেয়স হাত নাড়াতে পারছেন। কিন্তু ব্যথায় কাবু হয়ে রয়েছেন। উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে দিল্লির প্রথম ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। কিন্তু চিকিৎসকদের দৌলতে চার ম্যাচ বাদে মাঠে ফিরতে পেরেছিলেন।
এদিনের জয়ের ফলে আট ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল দিল্লির। যা তাদের প্লে-অফে ওঠার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ করে দিল। আপাতত পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে রয়েছে শ্রেয়সের দল।