টি-২০ ক্রিকেটে চার-ছক্কায় ১০ হাজার রান গেইলের; নজর কাড়লেন মায়াঙ্ক ও মুরুগান অশ্বিন
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কএলেন, খেললেন, জয় করলেন। আইপিএল ২০২০-তে পা রেখেই ক্রিস গেইল বুঝিয়ে দিলেন, বয়স স্রেফ একটা সংখ্যা। ৪১-এও তুঙ্গ মেজাজেই রয়েছেন জামাইকান। দিন দুয়েক আগেও পেটের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আর ২২ গজে ফিরেই খেললেন ৪৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। মন্থর পিচেও তাঁর ব্যাট থেকে বেরোল পাঁচটি ছক্কা। একই সঙ্গে গড়লেন এক অনন্য নজির। টি-২০ ক্রিকেটে ১৩,৩৪৯ রান রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে ১০ হাজার রান স্রেফ চার-ছক্কা মেরে (৯৮৩ টি ছয় এবং ১০২৭ টি চার)। আর নজির গড়ার ম্যাচেই জয় এনে দিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে। টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল কে এল রাহুলের দল। যে জয়ে অবদান রাখলেন অধিনায়ক নিজেও (৪৯ বলে ৬১ অপরাজিত)। ২৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ফের একবার নজর কাড়লেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল।
প্রথমে ব্যাট করে ছ’উইকেটে ১৭১ রান তুলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। জবাবে ম্যাচের শেষ বলে আট উইকেটে জয় হাসিল করে পাঞ্জাব।
ম্যাচের অন্যতম খলনায়ক হয়ে থাকলেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। নিজে ৩৯ বলে ৪৮ রান করলেন। যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। কিন্তু কোন যুক্তিতে ফর্মে থাকা এবি ডে ভিলিয়ার্সকে তিনি ছ’নম্বরে ব্যাট করতে পাঠালেন তার উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যারক ফিঞ্চ (১৮ বলে ২০) ও দেবদত্ত পাড়িক্কল (১২ বলে ১৮) ভালো শুরু করলেও বড় রান পাননি। মিডল অর্ডারে রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ ওয়াশিংটন সুন্দর (১৪ বলে ১৩) এবং শিবম দুবে (১৯ বলে ২৩)। শেষদিকে ক্রিস মরিস (৮ বলে ২৫ অপরাজিত) এবং ইসুরু উদানা (৫ বলে ১০ অপরাজিত) চালিয়ে না খেললে দেড়শোতেই আটকে যেত কোহলির দল। পাঞ্জাবের পক্ষে বল হাতে সফল মুরুগান অশ্বিন (২/২৩)।