চার উইকেট নিয়ে ইডেনে ভেল্কি দেখালেন ইমরান তাহির
স্পোর্ট ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কমরশুম শুরু হয়েছিল জয়ের হ্যাটট্রিক দিয়ে। আর মরশুমের মাঝপথে এসে হারের হ্যাটট্রিক। স্বাভাবিকভাবেই বেকায়দায় নাইট শিবির। প্রতিটি হার কঠিন করে দিচ্ছে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা। অথচ স্কোরবোর্ডে ১৬১ রানের পুঁজি নিয়েও একসময় ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল নাইটরাই। ১০ ওভার শেষে চেন্নাইয়ের রান ছিল তিন উইকেটে ৭০। শেষ ১০ ওভারে ধোনিদের প্রয়োজন ছিল ৯২ রান। যে কোনও বিপক্ষ অধিনায়ক ওখানেই জয়ের গন্ধ পেয়ে যেতেন। কিন্তু দীনেশ কার্তিকের পরিকল্পনাবিহীন ফিল্ডিং সাজানো আর বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন লাইন-লেংথ, এই দুইয়ের চাপেই ম্যাচ খুইয়ে বসল নাইটরা।
টসে জিতে কার্তিকদের আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ধোনি। সেখানেই কিছুটা ভেস্তে গিয়েছিল নাইটদের গেমপ্ল্যান। তাও ক্রিস লিন (৫১ বলে ৮২ রান) শুরুটা ভালো করে দিয়েছিলেন। কিন্তু উল্টোদিকে একের পর এক উইকেট পড়ছিল। ব্যর্থ সুনীল নারিন (২) ও রবিন উথাপ্পা (০)। নীতিশ রানা (২১) ও কার্তিক (১৮) ভালো শুরু করলেও বড় রান পাননি। রাসেল (৪ বলে ১০ রান) আটকে গেলেন 'ল' অফ অ্যাভারেজে'। আগের ম্যাচে ওপেন করে নজর কেড়েছিলেন শুবমান গিল। কিন্তু এদিন ফের সাত নম্বরে পাঠানো হল তাঁকে। নিট ফল, ২০ বলে ১৫ রানের আড়ষ্ট ইনিংস। ইডেনের বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে নাইটদের রুখে দিয়ে গেলেন কোনও এক ৪০ ছুঁইছুঁই ইমরান তাহির (৪/২৭)। পাওয়ার প্লে-তে নাইটদের আটকে রাখতে বড় ভূমিকা নিলেন শার্দুল ঠাকুর (২/১৮)।
শেন ওয়াটসন (৬), ফ্যাফ দু প্লেসি (২৪) এবং আম্বাতি রায়াডু (৫) ফিরে যাওয়ার পর চেন্নাইয়ের রান ছিল তিন উইকেটে ৬১। সেখান থেকেই পাল্টা আক্রমণের রাস্তা নিলেন কেদার যাদব (১২ বলে ২০ রান)। কিন্তু তিনি এবং ধোনি (১৩ বলে ১৬ রান) অল্প ব্যবধানে ফিরতেই চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। কিন্তু সুরেশ রায়না (৪২ বলে ৫৮ রান) এবং রবীন্দ্র জাদেজার (১৭ বলে ৩১ রান) সুবাদে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চেন্নাই।