অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে ১৪০ রান মণীশ-বিজয় জুটির
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কআইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে শতরান করেছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে। যখন প্রথমবার ভারতের বাইরে পা রেখেছিল আইপিএল। ১১ বছর পরে যখন ফের সম্পূর্ণ আইপিএলই আয়োজন করতে হচ্ছে দেশের বাইরে তখনও একইরকম কার্যকর মণীশ পাণ্ডে। বৃহস্পতিবারের দুবাইতে তাঁর ব্যাট থেকে বেরোল ৪৭ বলে ৮৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। যোগ্য সঙ্গত করলেন বিজয় শঙ্কর (৫১ বলে ৫২ অপরাজিত)। তাঁদের ৯৩ বলে ১৪০ রানের জুটিতে ভর করেই রাজস্থান রয়্যালসকে আট উইকেটে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে ছ’উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল রাজস্থান। জবাবে ১১ বল বাকি থাকতেই হায়দরাবাদকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মণীশ-বিজয়।
চলতি আইপিএলে বারবারই ওপেনিং জুটি বদলাচ্ছে রাজস্থান। গত কয়েক ম্যাচ ধরে ওপেন করছেন বেন স্টোকস। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একবারও চেনা মেজাজে দেখা যায়নি ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডারকে। এদিন তাঁর ক্যাচ ফেলেছিলেন বিজয়। যা কার্যত হায়দরাবাদেরই সুবিধা করে দিল। কারণ, ৩২ বল খেলে স্টোকসের অবদান মাত্র ৩০। সঞ্জু স্যামসন (২৬ বলে ৩৬) এবং রবিন উথাপ্পা সাড়াজাগানো শুরু করেও বড় রান পাননি। আগের ম্যাচের নায়ক জস বাটলার (৮) ব্যর্থ। ডেথ ওভারে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (১৫ বলে ১৯) এবং রিয়ান পরাগ (১২ বলে ২০)। তবে দলকে দেড়শোর গণ্ডি পার করিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব জোফ্রা আর্চারের (সাত বলে ১৬ অপরাজিত)। চলতি আইপিএলে প্রথম সুযোগ পেয়েই নজর কাড়লেন জেসন হোল্ডার (৩/৩৩)। আঁটোসাঁটো বোলিং করে রাজস্থানকে আটকে রাখলেন বিজয় (১/১৫) এবং রশিদ খান (১/২০)।
নিজের প্রথম দু’ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার (৪) এবং জনি বেয়ারস্টোকে (১০) ফিরিয়ে রাজস্থান শিবিরে আশা জাগিয়েছিলেন আর্চার। কিন্তু মনীশ-বিজয় জুটির সামনে তা ধোপে টেঁকেনি।
এদিনের জয় পয়েন্ট টেবলে পাঁচ নম্বরে তুলে আনল হায়দরাবাদকে। চার নম্বরে থাকা নাইটদের সঙ্গে তাদের এখন মাত্র দু’পয়েন্টের ফারাক। এই পরিস্থিতিতে নাইটরা যদি বাকি চার ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে হারে এবং হায়দরাবাদ যদি বাকি চার ম্যাচেই জেতে তাহলে প্লে-অফের দরজা খুলে যাবে ওয়ার্নারদের সামনে।