দিল্লিকে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকল হায়দরাবাদ; বল হাতে বিধ্বংসী রশিদ
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কঅস্ট্রেলিয়া সফরের দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কি কিছুটা তাড়াহুড়ো করে ফেললেন সুনীল জোশীরা? মঙ্গলবারের ইনিংসের মাধ্যমে সম্ভবত এই প্রশ্নই তুলে দিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। নিঃসন্দেহে দেশের সেরা উইকেটরক্ষক। কিন্তু ব্যাট হাতে তাঁর পারফরম্যান্স বারবার বাধা হয়ে উঠছিল। আইপিএলের শেষ ১৮ ম্যাচের ১৭ ইনিংসে সাকুল্যে ২৪১ রান। তাও ১৪.০৬ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ভালো নয়। প্রায় তিন বছর আগে এসেছিল শেষ অর্ধশতরান। সবমিলিয়ে রীতিমতো অনিশ্চয়তার দিকে ঝুঁকছিল ঋদ্ধির আইপিএল কেরিয়ার। ধারাবাহিকতার প্রবল অভাব। ২০১৪ আইপিএলের ফাইনালে দুর্দান্ত শতরান করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই ব্যাটে রানের খরা। ২০১৭ আইপিএলে অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস বেরিয়েছিল পাপালির ব্যাট থেকে। কিন্তু তার আগের ১৫ ম্যাচে তাঁর গড় ছিল মাত্র ১৫। তার আগেও টি-২০ ফর্ম্যাটে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন শিলিগুড়ির এই ক্রিকেটার।
ফল ভালো হয়নি। চোটের কারণে জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি। ফিরে এসে দেখেছেন, ঋষভ পন্থ নামের এক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। দলে নিজের জায়গা পাকা করার সেরা সুযোগ ছিল আইপিএল। কিন্তু শুরুর দিকে একটি ম্যাচে ৩১ বলে ৩০ রানের মন্থর ইনিংস খেলার পর আর সুযোগই পাননি। অবশেষে এল সুযোগ। পরের দশটি ম্যাচ খেলে তাঁর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যখন আট দলের মধ্যে সাত নম্বরে তখন দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে ঋদ্ধিকে দিয়ে ওপেন করালেন ডেভিড ওয়ার্নার। আর ৪৫ বলে ৮৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অধিনায়কের আস্থার যোগ্য মর্যাদা দিলেন বাংলার কিপিং অলরাউন্ডার। মাত্র ২৭ বলে অর্ধশতরান করে বোঝালেন, টি-২০ ক্রিকেটের দুনিয়ায় এখনও তিনি বেমানান নন। আরব মুলুকের মন্থর পিচেও তাঁর ব্যাট থেকে বেরোল একডজন ঝকঝকে বাউন্ডারি। সঙ্গে দু’টি ছক্কা। বুঝিয়ে দিলেন আইপিএল ফাইনালে শতরান ফ্লুক ছিল না।
ঋদ্ধির পাশে মানানসই ইনিংস খেললেন ‘বার্থডে বয়’ ওয়ার্নারও (৩৪ বলে ৬৬)। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই দু’উইকেটে ২১৯ তুলেছিল হায়দরাবাদ। জবাবে ১৩১ রানেই শেষ দিল্লি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান পন্থের। চার ওভারে মাত্র সাত রান খরচ করে তিন উইকেট রশিদ খানের। দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন সন্দীপ শর্মা এবং টি নটরাজন।