• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টিতে বোলারের জন্য পরামর্শ সানির

মানকাডিং শব্দে আপত্তি গাভাসকারের

অলিভিয়া ডায়াস

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের একাধিপত্য দেখার বদলে বোলারদের সহায়ক কিছু নিয়ম-সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকার। একই সঙ্গে মানকাডিং আউট প্রসঙ্গে গাওস্কর পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাটা পিচ ও ছোট মাঠে বিধ্বংসী বোলারদের বিরুদ্ধেও চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন ব্যাটসম্যানেরা। এ বার সেখানে বোলারদের উপর থেকে চাপ কমাতে গাভাসকারের প্রস্তাব, ওভার প্রতি দু’টি করে বাউন্সার দেওয়ার নিয়ম চালু হোক।

গাভাসকার বলেছেন, ‍‘‍‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ভালই চলছে। খুব বেশি সংশোধনের দরকার নেই। এটা ঠিক যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানেরাই প্রাধান্য পায়। তাই পেসারদের ওভার পিছু দু’টি করে বাউন্সার দেওয়ার নিয়ম চালু করা যেতেই পারে। এ ছাড়াও স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে মাঠের বাউন্ডারিও বাড়িয়ে দেওয়া যায় তাঁর প্রথম তিন ওভারের মধ্যে কোনও বোলার উইকেট পেলে তাঁকে আরও একটি বাড়তি ওভার বল করতে দেওয়া যেতে পারে।’’

মানকাডিং আউটের প্রসঙ্গে গাভাসকার জানান, টিভি আম্পায়ারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হোক। সংশ্লিষ্ট আম্পায়ার যেন নজর রাখতে পারেন, বোলার বল করার আগেই যেন নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে আর এক ব্যাটসম্যান অনেকটা এগিয়ে না যানগাভাসকার প্রশ্ন তোলেন, এ ভাবে তিন থেকে পাঁচ গজ এগিয়ে থেকে যে ব্যাটসম্যানেরা সুবিধা আদায় করে নেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তাঁর প্রস্তাব, ‍‘‍‘নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান যদি বল করার আগে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যায়, তা হলে ওই বলে যা রান উঠবে (চার বা ছক্কা মারলেও) সেখান থেকে এক রান কেটে নেওয়া হোক শাস্তিস্বরূপ।’’

পাশাপাশি, কেন মানকাডিং শব্দটি প্রয়োগ করা হবে, তা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন গাভাসকার। তাঁর মনে হয়, এটি ভারতের প্রয়াত ক্রিকেটার বিনু মানকড়কে অসম্মান করা। ১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ভারতের বিনু মানকড় অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনকে আউট করেছিলেন এ ভাবে। যা দেখে তৎকালীন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্যর ডোনাল্ড (ডন) ব্র্যাডম্যান পর্যন্ত বলেছিলেন, ক্রিকেটের নিয়ম মেনেই ব্রাউনকে আউট করেছিলেন বিনু। কিন্তু তখনকার অস্ট্রেলীয় প্রচারমাধ্যম ঘটনাটিকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এই আউটের সঙ্গে মানকাডিং শব্দটি যোগ করে দেন।

গাভাসকার বলেছেন, ‍‘‍‘জানি না ইচ্ছাকৃত ভাবে এই আউটের সঙ্গে মানকাডিং শব্দটি যোগ করা হয়েছে কি না। ক্রিকেটে তো অখেলোয়াড়োচিত অনেক ঘটনাই রয়েছে। তা হলে ওই আউটের ঘটনাটিকে একটা বিশেষ নাম দিয়ে দেওয়া হল কেন? এ বার সময় এসেছে এই মানকাডিং শব্দটিকে ময়লার পাত্রে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার।’’

সম্প্রতি দিল্লি ক্যাপিটালস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচে দিল্লির স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বিপক্ষের অ্যারন ফিঞ্চ বল করার আগে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় সতর্ক করেছিলেন। গাভাসকারের মতে, ‍‘‍‘এই সতর্ক করার মাধ্যমে অশ্বিন ওর আইপিএল দলের কোচ রিকি পন্টিংকে সম্মান করেছে। কারণ, পন্টিং এর আগে এই ধরনের আউট করা প্রসঙ্গে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। যদিও অশ্বিন জানিয়ে দিয়েছে, এটাই ওর শেষবার সতর্ক করা। এর পরে ওর বল করার সময়ে কেউ ক্রিজ ছেড়ে বেরোলে অশ্বিনের উচিত তাঁকে আউট করা।’’

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top