মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ১০ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কআইপিএলের মঞ্চে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মানেই নাইটদের কাছে বিভীষিকা। অথচ সেই মুম্বইয়ের জন্যই মঙ্গলবার গলা ফাটাচ্ছিলেন নাইট সমর্থকরা। কারণ, এদিন শারজায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে মুম্বই হারিয়ে দিলেই প্লে-অফে পৌঁছে যেত এসআরকে-র দল। কিন্তু নাইটদের যাবতীয় আশায় জল ঢেলে মুম্বইকে ১০ উইকেটে দুরমুশ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁর ৫৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংসের পাশে সমানভাবে উজ্জ্বল হ্যে থাকলেন ঋদ্ধিমান সাহা (৪৫ বলে ৫৮ অপরাজিত)। আইপিএল ২০২০-এর প্লে-অফে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে থেকে গেলেন শিলিগুড়ির ‘পাপালি’। এদিন প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ১৪৯ রান তুলেছিল মুম্বই। জবাবে ১৭ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ওয়ার্নার-ঋদ্ধির ওপেনিং জুটি। ম্যাচের সেরা সন্দীপ শর্মা (৩/৩৪)।
আইপিএলে সব দলই তাদের সমর্থক বাড়িয়েছে স্থানীয় প্রতিভাদের দলে নিয়ে। সরকারিভাবে যাকে বলা হয় ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’। একমাত্র ব্যতিক্রম কলকাতা নাইট রাইডার্স। যেখানে বাংলার একজনও প্রথম সারির ক্রিকেটার নেই। ঋদ্ধি, মহম্মদ শামি, ঈশান পোড়েলের মতো বাংলা ক্রিকেটের তারকারা খেলছেন ভিন রাজ্যের দলের হয়ে। তাই নামের বদলে যাঁরা কাজে আস্থা রাখেন, বাংলা ক্রিকেটের সেই অনুরাগীরা মঙ্গলবারের ম্যাচের ফলে বিশেষ অখুশি নন।
তাঁদের অখুশি হওয়ার জায়গাও দেননি ঋদ্ধি। চলতি আইপিএলের প্রথম লেগে নাইটদের বিরুদ্ধে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ৩১ বলে ৩০ রানের আড়ষ্ট ইনিংসের বেশি কিছু সেদিন বেরোয়নি তাঁর ব্যাট থেকে। দলের বাইরে ছিলেন এক মাস। কিন্তু হায়দরাবাদের শেষ তিন ম্যাচে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গিয়েছে পাপালিকে। গত আইপিএলে চোখধাঁধানো ফর্মে ছিল ওয়ার্নার এবং জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটি। কিন্তু এবার অজি-ব্রিটিশ জুটি সেভাবে সফল হয়নি। তাই ঋদ্ধিকে দলে এনে ওপেন করার সুযোগ দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। আর তাতেই বাজিমাত। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৮৭, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচে ৩৯-এর পর এদিন অপরাজিত ৫৮। তিন ম্যাচে ১৮৪ রান। গড় ৯২। স্ট্রাইক রেট ১৫০। আপাতত তাঁর দিকেই নজর বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের।