রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ছ’উইকেটে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে হায়দরাবাদ
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক“তোমার জন্মদিনের কেকের উপর চেরির মতো বসিয়ে দিতে চাই আইপিএল ট্রফিটা।“ বিরাট কোহলির জন্মদিনে তাঁকে এভাবেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন এবি ডে ভিলিয়ার্স। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যে সে আশা এভাবে দুমড়ে যাবে তা সম্ভবত কোহলি নিজেও ভাবেননি। এবারও ফাঁক থেকে গেল কাপ আর ঠোঁটের মাঝে। শুক্রবার আবু ধাবিতে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। জবাবে দু’বল বাকি থাকতেই ছ’উইকেটে জয় হাসিল করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে আইপিএল ২০২০-এর মঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন ‘কিং কোহলি’।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শিবিরে যিনি নতুন করে ট্রফির আশা জাগিয়েছিলেন সেই ডে ভিলিয়ার্স অবশ্য চেষ্টার কোনও খামতি রাখেননি। গোটা দলের ব্যাটিং অর্ডার যখন ধুঁকছে তখন রুখে দাঁড়ালেন তিনিই। দলের ১৩১ রানের মধ্যে এবিডির অবদান ৪৩ বলে ৫৬। ৩০ বলে ৩২ রান অ্যারন ফিঞ্চের। এছাড়া, একমাত্র দু’অঙ্কের রান মহম্মদ সিরাজের (সাত বলে ১০)। নিজের প্রথম দু’ওভারেই কোহলি (৬) এবং দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (১) ফিরিয়ে যে ঝটকা জেসন হোল্ডার (৩/২৫) দিয়েছিলেন তা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আরসিবি।
শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে জয়ের রাস্তা দেখালেন সেই হোল্ডারই। ১৩২ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে একসময় ৬৭ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদের। ততক্ষণে প্যাভিলিয়নে শ্রীবৎস গোস্বামী (০), ডেভিড ওয়ার্নার (১৭), মণীশ পাণ্ডে (২৪) এবং প্রিয়ম গর্গ (৭)। মন্থর পিচে বাড়তে থাকা আস্কিং রেটের সঙ্গে যুঝতে চেষ্টা করছিলেন কেন উইলিয়ামসন (৪৪ বলে ৫০ অপরাজিত) এবং হোল্ডার। তা সত্বেও শেষ চার বলে আট রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। পরপর দু’টি বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন সেই হোল্ডারই। কাজে লাগেনি অ্যাডাম জাম্পা (১/১২), যুজবেন্দ্র চাহল (১/২৪), সিরাজদের (২/২৮) প্রয়াস।
রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জয়ী দল ১০ নভেম্বর ফাইনাল খেলবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে।