২০০ তম আইপিএল ম্যাচে নজর কাড়লেন রোহিত; চেন্নাইয়ের রেকর্ড স্পর্শ করল নীতা আম্বানির দল
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক‘নর্ম্যাল’ থেকে ‘নিউ নর্ম্যাল’। ব্যাকপ্যাক থেকে ডেটা প্যাক। ক্লাসরুমে মোবাইল ব্যবহার করা নিষেধ থেকে মোবাইলে ক্লাসরুম। করোনা অতিমারীর জেরে বদল হয়েছে অনেক। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের চরিত্রে কোনও বদল নেই। হার দিয়ে শুরু। আর চ্যাম্পিয়নের ট্রফি দিয়ে শেষ। ২০১৩ সালে প্রথম আইপিএল ট্রফি জিতেছিল নীতা আম্বানির দল। তারপর ২০১৯ পর্যন্ত আরও তিনবার ট্রফি এসেছে মুম্বই শিবিরে। কিন্তু এই নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। আইপিএল ২০২০-এর উদ্বোধনী ম্যাচেও চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হার দিয়ে শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মারা। আর সেই আইপিএলেরই শেষ দিনে দিল্লি ক্যাপিটালসকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে আরব সাগরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ট্রফি নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
নিজের ২০০ তম আইপিএল ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন রোহিত। তাঁর ফিটনেস নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছিল ২৪ ঘণ্টা আগেও। কিন্তু এদিন মাঠে নেমে যাবতীয় প্রশ্ন দাঁড়ি টেনে দিলেন মুম্বই অধিনায়ক। তাঁর ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংসই জয়ের রাস্তা দেখাল মুম্বইকে। তাঁর পাশাপাশি সমানভাবে উজ্জ্বল ঈশান কিষাণও। যাঁর ব্যাট থেকে বেরোল ১৯ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
ম্যাচের প্রথম বলেই অবশ্য দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিসকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়েছিলেন অজিঙ্ক রাহানেকেও (২)। এরপর জয়ন্ত যাদবের বলে যখন শিখর ধাওয়ান বোল্ড হন তখন দিল্লির রান তিন উইকেটে ২২। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (৫০ বলে ৬৫ অপরাজিত) এবং ঋষভ পন্থ (৩৮ বলে ৫৬)। যোগ করেছিলেন ৬৯ বলে ৯৬ রান। কিন্তু বোল্ট (৩/৩০), বুমরা (০/২৮), কুল্টার-নাইলদের (২/২৯) হিসেবি বোলিং শেষ পাঁচ ওভারে ৩৮ রানের বেশি তুলতে দেয়নি দিল্লিকে। আর ব্যাট করতে নেমে সেই জায়গা কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করে গেল মুম্বই। তাই কুইন্টন ডি কক (২০), সূর্যকুমার যাদব (১৯), কিয়েরন পোলার্ড (৯), হার্দিক পাণ্ড্যরা (৩) বড় রান না পেলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি রোহিতদের।
আইপিএলের ময়দানে যুযুধান দুই পক্ষ। কিন্তু রঞ্জির আসরে খেলেন মুম্বইয়েরই হয়ে। সেই সম্পর্ককে সম্মান জানিয়েই রোহিতের কাঁধে হাত দিয়ে টস করতে এসেছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু মনে মনে জানতেন, অধিনায়ক হিসাবে ইতিহাস গড়ার মহামূল্যবান সুযোগ রয়েছে আইপিএলের আসরে। যা তাঁকে ভবিষ্যৎ ভারত অধিনায়কেরও আসনে বসাতে পারে। তাই চেষ্টার খামতি ছিল না। ভাঙা আঙুল নিয়ে দলকে সমর্থন যোগাতে হাজির ছিলেন অমিত মিশ্রও। কিন্তু সব প্রচেষ্টাই ধাক্কা খেয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নামের এক অপ্রতিরোধ্য দলের সামনে। পাঁচবার আইপিএল ফাইনালে উঠে পাঁচবারই যারা চ্যাম্পিয়ন হল। একইসঙ্গে স্পর্শ করল চেন্নাই সুপার কিংসের টানা দু’বার আইপিএল জেতার রেকর্ড।