প্রোটিয়া বোর্ডের সিদ্ধান্তে অবাক বিশেষজ্ঞরা
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কদক্ষিণ আফ্রিকায় কি আবার ফিরতে চলেছে বর্ণবৈষম্যের কালো অধ্যায়? ইঙ্গিত তেমনই।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার জেরে পৃথিবীজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। যার পোশাকি নাম ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’। ঘটনার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। গত আগস্টে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে এক হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদের নীতি নিয়েছিল দু’পক্ষই। কিন্তু তারপর থেকে সমানে ফিকে হচ্ছে সেই প্রতিবাদের ভাষা। যে দেশে এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ার কথা ছিল সেই দক্ষিণ আফ্রিকার মনোভাবও যথেষ্ট নমনীয়। সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে এক হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ জানাবেন না প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা। বদলে তাঁরা পরবেন কালো আর্মব্যান্ড। যার কারণ হিসাবে থাকছে লিঙ্গবৈষম্যভিত্তিক হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং করোনার জেরে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হওয়া।
বিষয়টি নিয়ে যিনি সবচেয়ে সরব ছিলেন সেই কাগিসো রাবাদা বলছেন, “এই আন্দোলনের পাশে অবশ্যই রয়েছি। কিন্তু দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ করবে না। অন্যান্য বিষয়ের দিকে দলের খেলোয়াড়রা মনোনিবেশ করতে চায়। কিন্তু তাতে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতা কমছে না।“
বিষয়টি নিয়ে রাবাদাদের কোচ মার্ক বাউচার জানিয়েছেন, জুলাই মাসে তিনটি দলকে নিয়ে যে ম্যাচটি (থ্রিটিসি) খেলা হয়েছিল সেখানে খেলোয়াড়রা এই আন্দোলনের প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এরপর আর নতুন করে কিছু করার নেই। একই মত দলের আর এক কৃষ্ণাঙ্গ বোলার লুঙ্গি এনগিডিরও।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং। কারণ, ইংল্যান্ড-পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ করেননি ক্রিকেটাররা। বর্ণবৈষম্যের জেরে যে দেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ২২ বছর নির্বাসিত ছিল সেই দক্ষিণ আফ্রিকাও এবার একইরকম ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই প্রাসঙ্গিকতা হারাবে এই আন্দোলন।