• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

রুদ্ধশ্বাস জয়, আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

চারবার ট্রফি জিতে চেন্নাইকে পিছনে ফেললেন রোহিতরা; ধোনির আউট নিয়ে শুরু বিতর্ক

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

২০১৩, ২০১৫, ২০১৭। বিজোড় সংখ্যার বছর মানেই আইপিএল ট্রফি বাণিজ্য নগরীতে। ২০১৯-এও তার অন্যথা হল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে শেষ হাসি হাসল রোহিত শর্মার দলই। ম্যাচের শেষ বলে জয় ছিনিয়ে নিল এক রানে। আইপিএলের ১২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে টানটান ফাইনালের সাক্ষী থাকল নিজামের শহর। এই নিয়ে আইপিএল ফাইনালে ১৫০-এর কম রান নিয়ে চারবার জিতল প্রথমে ব্যাট করা দল। তার মধ্যে তিনবারই ট্রফি গেল আরব সাগরের পাড়ে।

খেলার শুরু থেকেই পেন্ডুলামের মতো দুলেছে ম্যাচের ভাগ্য। এদিন ওপেনিং জুটিতে ২৯ বলে ৪৫ রান তুলে মুম্বইকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা এবং কুইন্টন ডি কক। কিন্তু মাত্র তিন বলের ব্যবধানে ডি কক (১৭ বলে ২৯ রান) এবং রোহিত (১৪ বলে ১৫ রান) ফিরতেই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে চেন্নাই। এরপর কিছুটা রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব এবং ঈশান কিষাণ। কিন্তু অল্প ব্যধানে সূর্যকুমার (১৫), ক্রুনাল পাণ্ড্য (৭) এবং ঈশান (২৬) আউট হতেই রীতিমতো চাপে পড়ে যায় মুম্বই। স্কোরবোর্ডে তখন ১০১/৫। সেখান থেকে ২০ বলে ৩৯ রান যোগ করে মুম্বইকে অপেক্ষাকৃত ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন কিয়েরন পোলার্ড (২৫ বলে ৪১ অপরাজিত) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (১০ বলে ১৬ রান)। কিন্তু শেষ দু’ওভারে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় দেড়শর গণ্ডি পেরোতে পারেনি মুম্বই। মেহির দলের পক্ষে বল হাতে সফল দীপক চাহর (৩/২৬), ইমরান তাহির (২/২৩) এনং শার্দুল ঠাকুর (২/৩৭)।

গ্রুপ লিগের দু’টি ম্যাচের পর প্রথম কোয়ালিফায়ারেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হার হজম করতে হয়েছিল ধোনির দলকে। সেই হিসাব উল্টে দিতে এদিন মারমুখী মেজাজে শুরু করেছিলেন ফ্যাফ দু প্লেসি (১৩ বলে ২৬ রান)। তিনি আউট হওয়ার পর লড়াইয়ের ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছিলেন শেন ওয়াটসন। কিন্তু উল্টোদিকে রায়না (৮), আম্বাতি রায়াডু (১) বা ধোনি (২) – কেউই টিকতে পারেননি। এর মধ্যে বড় বিতর্ক তৈরি হয় ধোনির আউট নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, মাহির ব্যাট যেখানে ছিল তাতে নট আউট ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতেই পারতেন তৃতীয় আম্পায়ার নাইজেল লং। তারপরেও ডোয়েন ব্রাভোকে (১৫ বলে ১৫ রান) নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৫১ রান যোগ করেছিলেন ওয়াটো। দলকে পৌঁছে দিয়েছিলেন জয়ের দোরগোড়ায়। তিনবার জীবন পাওয়ার সুযোগ নিয়েছিলেন পুরোদমে। শেষ ওভারে জেতার জন্য ৯ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। তখনও ক্রিজে ওয়াটসন। অ্যাডভান্টেজ চেন্নাই। কিন্তু শেষ তিন বলে ওয়াটো (৫৯ বলে ৮০ রান) এবং শার্দুলকে আউট করে মুম্বইকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন মালিঙ্গা। তবে মুম্বইয়ের এদিনের জয়ের মূল কারিগর জসপ্রীত বুমরা। চার ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে তাঁর শিকার রায়াডু এবং ব্রাভো। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা তিনি। তবে চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে এবং রায়নার উইকেট নিয়ে তাঁকে দুর্দান্ত সহায়তা করেন রাহুল চাহর। যাঁকে এবারের আইপিএলের আবিষ্কার বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

তীরে এসেও তরী ডোবার জন্য অবশ্য আক্ষেপ নেই মাহির। বরং স্বভাবসিদ্ধ মেজাজেই বলছেন, “আমরা ট্রফিটা একে অপরের দিকে গিয়ে দিচ্ছিলাম।“ তবে এদিনের পারফরমেন্সে কাগিসো রাবাদাকে পিছনে ফেলে ‘পার্পল ক্যাপ’ জিতে নিলেন ধোনিরই দলের ইমরান তাহির। ২০১৯ আইপিএলে যার উইকেটের সংখ্যা ২৬। এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ ৬৯২ রান করার সুবাদে ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ গেল ডেভড ওয়ার্নারের দখলে।

প্লে-অফে না উঠতে পারলেও নাইটদের জন্য বরাদ্দ থাকল তিনটি পুরস্কার। ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ এবং সেরা স্ট্রাইক রেটের পুরস্কার প্রত্যাশামতোই গেল আন্দ্রে রাসেলের ঝুলিতে। ‘এমার্জিং প্লেয়ার’-এর পুরস্কার পেলেন নাইটদের এবারের আবিষ্কার শুবমান গিল।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top