যোগ্য সঙ্গত জাদেজার; বল হাতে নজর কাড়লেন শার্দূল
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক১৯৯২ সালের রেট্রো জার্সির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরের ‘রেট্রো’ বিভীষিকাও কি ফেরত আসছে? প্রথম দু’ম্যাচের পর তেমনই অশনিসঙ্কেত দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে সম্মান কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করল টিম ইন্ডিয়া। নিয়মরক্ষার ম্যাচে অজিদের ১৩ রানে হারাল তারা। যার নেপথ্যে থাকল হার্দিক পাণ্ড্যর দুরন্ত ব্যাটিং, রবীন্দ্র জাদেজার যোগ্য সঙ্গত এবং শার্দূল ঠাকুরের কার্যকরী বোলিং। বুধবার মানুকা ওভালে প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ৩০২ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে ২৮৯ রানে অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম একাদশে এদিন চারটি পরিবর্তন করেছিলেন কোহলিরা। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মায়াঙ্ক আগরওয়াল, নবদীপ সাইনি, যুজবেন্দ্র চাহল এবং মহম্মদ শামিকে। মায়াঙ্কের বদলে ওপেন করতে আসা শুভমান গিল ভালো শুরু করলেও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। শিখর ধাওয়ান আউট হন ১৬ রান করে। শ্রেয়স আইয়ার (১৯), কে এল রাহুল (৫) এবং বিরাট (৬৩) অল্প ব্যবধানে ফেরার পর ১৫২/৫ হয়ে গিয়েছিল ভারতের স্কোর। কিন্তু তারপরেই ম্যাচের রঙ বদলে দেন হার্দিক এবং জাদেজা। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ১৮ ওভারে ১৫০ রান যোগ করেন দু’জনে। ৭৬ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। সাতটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। অন্যদিকে, জাদেজা পাঁচটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে করেন ৫০ বলে ৬৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাশটন অ্যাগার ৪৪ রানে দু’উইকেট নেন। প্যাট কামিন্সের বদলি হিসাবে দলে আসা শন অ্যাবট। ছ’বছর পরে জাতীয় দলে ফেরা দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকল তাঁর। ১০ ওভারে ৮৪ রান খরচ করে প্রাপ্তি শুধু শিখর ধাওয়ানের উইকেট।
শামির বদলি টি নটরাজনকে এদিন নতুন বল তুলে দিয়েছিলেন বিরাট। অভিষেকেই মার্নাস লাবুশানের (৭) উইকেট তুলে নিলেন তিনি। আগের দু’ম্যাচে শতরান করা স্টিভ স্মিথকে (৭) ফেরান শার্দূল। তৃতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ এবং মোজেস এনরিকে। তার পিছনে অবশ্য ভারতীয় ফিল্ডারদের অবদান রয়েছে। স্লিপে ফিঞ্চের সহজ ক্যাচ ফস্কান শিখর। এরপর হার্দিকের থ্রো অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় দ্বিতীয়বার জীবন পান অজি অধিনায়ক। তারপর নিজের বলে ফিঞ্চের কঠিন ক্যাচ ছাড়েন জসপ্রীত বুমরা। অ্যালেক্স কেরি (৩৮), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫৯) এবং অ্যাগার (২৮) একসময় ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু লোয়ার অর্ডার প্রতিরোধ গড়তে না পারায় বিরাটদের ‘হোয়াইটওয়াশ’ করতে পারেনি অজিরা। ৫১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন শার্দূল। দু’টি করে উইকেট নেন বুমরা এবং নটরাজন।