বিরাটের সিদ্ধান্ত অবাক গাভাসকর
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কঅ্যাডিলেড টেস্ট খেলেই দেশে ফিরে যাবেন বিরাট কোহলি। আর অধিনায়ক হিসাবে তাঁর অনুপস্থিতিই ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে ভারতকে। এমনই মত ব্যক্ত করেছেন ইয়ান চ্যাপেলের মতো প্রাক্তনরা। কিন্তু প্রাক্তন অজি অধিনায়কের উল্টো সুর সুনীল গাভাসকরের গলায়। বরং, ‘লিটল মাস্টার’ আস্থা রাখছেন অজিঙ্ক রাহানের উপর। বিরাটের অনুপস্থিতিতে যিনি দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
অতীত রেকর্ডের কথা মনে করিয়ে সানি বলছেন, “নেতৃত্ব নিয়ে রাহানের উপর সেরকম কোনও চাপ নেই। কারণ, আগে ও দু’বার দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আর দু’বারই ভারত জিতেছে। একবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মশালায়। অন্যবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। রাহানে জানে, ও কোথায় দাঁড়িয়ে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শেষ তিন টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবে ও। আর সেটা নিয়েই ভাববে রাহানে। অধিনায়ক হিসাবে লম্বা সময় টিকে থাকতে গেলে ঠিক কী কী করা উচিৎ সেটা নিয়ে ভাববে না ও। রাহানে বরং যেরকম সততার সঙ্গে ক্রিকেট খেলে সেভাবেই নেতৃত্ব দিক। ও আর পুজারা মিলে চেষ্টা করবে বিপক্ষকে হতোদ্যম করে দিতে। একইসঙ্গে, নিজেদের মতো করে শট খেলতে চাইবে।“
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে দেশের মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর সিরিজেই অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক হয়েছিল রাহানের। সেসময় সিরিজ ১-১ ড্র ছিল। ধর্মশালায় সিরিজের শেষ টেস্ট ভারত জিতেছিল রাহানের নেতৃত্বই। একইসঙ্গে জিতে নিয়েছিল বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। এবারও সেই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেই পরীক্ষা রাহানের। তবে এবার তিন টেস্টের জন্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।
প্রসঙ্গত, আইপিএলের পরেই বিরাট বিসিসিআইকে জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম দু’টেস্ট খেলে দেশে ফিরতে চান। যাতে প্রথম সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রী অনুষ্কার পাশা থাকতে পারেন। তবে বোর্ড প্রথম টেস্টের পরেই তাঁকে ছুটি দিয়েছে। যা নিয়ে কিছুটা অবাক গাভাসকর। নিজের কলামে সানি লিখেছেন, “১৯৭৬ সালে যখন আমার পুত্র রোহন জন্মায় তখন আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিলাম। বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলাম, যাতে আমাকে এক সপ্তাহ ছুটি দেওয়া হয়। ভেবেছিলাম, ওই সময় মার্শেলিনের পাশা থাকব। তারপর ফিরে যাব ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। কিন্তু দেশের কথা ভেবে সফরের মাঝপথে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।“