আজ শুরু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্ট
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ককখনও কি এভাবে একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে টেস্ট খেলতে নেমেছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া? মনে করতে পারছেন না দুঁদে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও। দু’দলেরই সমস্যা ওপেনিং নিয়ে। দুই দলই ভরসা করে রয়েছে তাদের মিডল অর্ডারের উপর। দুই শিবিরই আক্রমণ শানাচ্ছে তিন পেসার এক স্পিনারের ছকে। আর ভারতের মতো অস্ট্রেলিয়াও চোটের জন্য নামাতে পারছে না তাদের প্রথম পছন্দের দল।
যাঁর নামাঙ্কিত ট্রফি সেই সুনীল গাভাসকর দিন দুয়েক আগেই বলেছিলেন, “টেস্ট ম্যাচে ওপেনারদের প্রয়োজন বল বুঝে শট খেলা। কিন্তু পৃথ্বী শ’ প্রতি বলেই শট খেলতে যাচ্ছে। আর সেটাই ওর বিপদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।“ কার্যক্ষেত্রে হয়েছেও তাই। কিন্তু অবস্থা এমনই যে কে এল রাহুলকে ইনিংসের শুরুতে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছেন না বিরাট কোহলি, রবি শাস্ত্রীরা। অগত্যা, সেই পৃথ্বীকেই ওপেনার হিসাবে খেলাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। সঙ্গী মায়াঙ্ক আগরওয়াল। গোলাপি বলের প্রস্তুতি ম্যাচে রান করে যিনি কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। তিন থেকে ছয়ে যথাক্রমে চেতেশ্বর পুজারা, কোহলি, অজিঙ্ক রাহানে এবং হনুমা বিহারী। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেয়েছেন পুজারা এবং রাহানে। গোলাপি বলে শতরান করেছেন হনুমা। কিন্তু কোহলি স্যার ডনের দেশে আসা ইস্তক শুধু সাদা বলের ম্যাচই খেলেছেন। যে প্রসঙ্গে তাঁকে বকলমে সাবধান করে দিচ্ছেন রাহানে। বলছেন, “প্রতি ৪০-৫০ মিনিট অন্তর বলের গতি বদলায়। প্রথম ২০ ওভার বল সুইং করে। তারপর ব্যাটসম্যানদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু গোধূলির সময়ে ফের বাড়ে বলের গতি।“
সেই গোলাপি বলের কথা মাথায় রেখেই ঋষভ পন্থকে না খেলিয়ে ঋদ্ধিমান সাহাকে দলে নিয়েছেন কোহলিরা। যদিও পন্থ গোলাপি বলের প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত শতরান করেছেন। কিন্তু তার সঙ্গে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডদের বোলিং-এর তুলনা করতে যাওয়া চরম মূর্খামি। তাই ব্যাটিং এবং কিপিং দুই টেকনিকেই অনেক বেশি সাবলীল ঋদ্ধি দলে জায়গা করে নিয়েছেন। পেস বিভাগের দায়িত্ব থাকছে মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা এবং উমেশ যাদবের কাঁধে। দলে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রয়োজনে হাত ঘোরাবেন হনুমা, পৃথ্বীরাও।
চোট সমস্যার জেরে ওপেনিং নিয়ে ফাঁপরে অজিরাও। অফ ফর্মে থাকা জো বার্নসের সঙ্গী হতে চলেছেন ম্যাথু ওয়েড। যিনি টি-২০ সিরিজে ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। তিন থেকে সাতে মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন এবং অধিনায়ক টিম পেন। তারপরেই তিন পেসার। দলে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার ন্যাথান লিয়ঁ।
গোলাপি বলের কথা মাথায় রেখেই ঘাস রাখা হয়েছে অ্যাডিলেডের পিচে। আর রেকর্ড বলছে, এর আগে সাতটি দিন-রাতের টেস্ট খেলে সবক’টিতেই জিতেছে ক্যাঙারুবাহিনী। বিশেষত, গোলাপি বলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন স্টার্ক। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা মাত্র একটি দিন-রাতের টেস্ট খেলার। তাও দুর্বল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তবে বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে হিসাবে উল্টে দেওয়া যাবে বলে মনে করছে টিম ইন্ডিয়া।