ভারতীয় ব্যাটিং-কে খোঁচা শোয়েব, বীরুর; অজিদের প্রশংসায় আক্রম
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক‘সামার অফ ফর্টি টু’। ১৯৭৪-এর লর্ডস। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রানে অল আউট হওয়া দলের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন তিনি। যা এতদিন ছিল টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর। সাড়ে ৪৬ বছর পরে সেই লজ্জার হাত থেকে কি মুক্তি পেলেন সুনীল গাভাসকর? ভারতের সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোরের সঙ্গে আরও একবার জড়িয়ে থাকল তাঁর নাম। কারণ, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বিজয়ীর পুরস্কার তো বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি নামেই পরিচিত!
লর্ডসে সেদিন লাল বলের খেলায় মাত্র ১৭ ওভারে ভারতকে দুমড়ে দিয়েছিলেন ক্রিস ওল্ড, জিওফ আর্নল্ডরা। আর শনিবার গোলাপি বলের টেস্টে ৩৬ রানে অল আউট হতে ভারত সময় নিল ২১.২ ওভার। সেদিনও শেষ ব্যাটসম্যান চন্দ্রশেখর ব্যাট করতে পারেননি। এদিনও চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হল শেষ ব্যাটসম্যান মহম্মদ শামিকে।
গাভাসকর অবশ্য ভারতীয় ব্যাটিং-কে পুরোপুরি দুষতে নারাজ। তিনি বরং কৃতিত্ব দিচ্ছেন অজিদের দুর্দান্ত বোলিং-কে। বলছেন, “যখন থেকে টেস্ট খেলছে তখন থেকে ধরলে এটাই ভারতের সর্বনিম্ন রান। যা কখনই কাম্য নয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া যেরকম বোলিং করেছে তাতে অন্য দলও একইরকম সমস্যায় পড়ত। হয়তো ৩৬ রানে অল আউট হত না। কিন্তু ৭২ বা ৮০-৯০ রানে অল আউট হয়ে যেত। হ্যাজলউড, কামিন্স যেভাবে বল করেছে, তার আগে স্টার্কের তিন ওভারের স্পেল অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তাই শুধু ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দোষ দেওয়া ঠিক নয়। অস্ট্রেলীয় বোলাররা দুর্দান্ত বল করেছে।“
টুইটারে শচীন তেন্ডুলকর লিখেছেন, “প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং এবং বোলিং চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছিল ভারতকে। কিন্তু সকালে দারুণভাবে ফিরে এল অজিরা। এটাই টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য। দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন!”
সুযোগ বুঝে চিরশত্রুকে একহাত নিতে ছাড়েননি শোয়েব আখতার। প্রাক্তন পাক পেসার বলছেন, “ঘুম থেকে উঠেই টিভি দেখছিলাম। প্রথমে ভেবেছি ভারত ৩৬৯ রান তুলেছে। পরে চোখ রগড়ে দেখি, ওতা আসলে ন’উইকেটে ৩৬। ভাবতে ভালো লাগছে যে আমাদের রেকর্ড ভেঙে দিল ভারত। লজ্জাজনক হার। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাই-আপের লজ্জাজনক ব্যাটিং। তবে ক্রিকেটে এরকম হয়েই থাকে।“ বীরেন্দ্র সেহবাগের মত, “৪৯২০৪০৮৪০৪১ এই ওটিপি-র মতো স্কোর ভুলে যাওয়াই ভালো।“ ওয়াসিম আক্রম লিখেছেন, “গলফ খেলতে গিয়েছিলাম। ফিরে দেখি, ম্যাচ শেষ! কি অসাধারণ বোলিং করল অস্ট্রেলীয়রা! গতিই ফারাক গড়ে দিল।“