ভারতীয় উইকেটরক্ষকের সমালোচনায় রিকি পন্টিং
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কঅ্যাডিলেড টেস্টে দলের ব্যাটিং ভরাডুবির জেরে দল থেকে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলার উইকেটরক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ব্যাট হাতে দলকে প্রয়োজনীয় নির্ভরতা যোগাতে পারেননি। মেলবোর্নেই ঋদ্ধির জায়গা নিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। ফস্কেছিলেন প্যাট কামিন্সের ক্যাচ। কিন্তু তারপরেও টিকে গিয়েছেন দলে। সিডনিতে বর্ডার-গাভাসকর সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই ঋষভ বুঝিয়ে দিলেন, উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে নির্ভরযোগ্য হতে তাঁর এখনও অনেক সময় লাগবে। সিরিজ শুরুর আগে থেকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা হিসাবে উইল পুকোভস্কিকে তুলে ধরছিল সেদেশের প্রচারমাধ্যম। কিন্তু চোট পাওয়ায় সিরিজের প্রথম দু’টেস্টে খেলতে পারেননি পুকোভস্কি। অবশেষে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভ্যুদয় হল তাঁর। আর পন্থের বদান্যতায় দু’বার জীবন পেয়ে করে গেলেন ৬২ রান। প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে তাঁর ক্যাচ ছাড়লেন দিল্লির উইকেটরক্ষক। পুকোভস্কির রান তখন ২৬। তার তিন ওভার পরেই ফের পুকোভস্কিকে ফেললেন সিরাজের বলে। তখন ৩২ রানে ব্যাট করছেন অজি ওপেনার। সিরাজের বাউন্সারে পুল করতে গিয়েছিলেন পুকোভস্কি। কিন্তু বল তাঁর গ্লাভসে লেগে বেশ কিছুটা উঠে গিয়েছিল। ঋষভ বল দেখছিলেন। কিন্তু বলকে লক্ষ্য করে ছোটা শুরু করলেন অনেক দেরিতে।
একে পাটা উইকেট। তার মধ্যে বারবার খেলার ছন্দ নষ্ট হচ্ছিল বৃষ্টির জেরে। তার উপর পন্থের জঘন্য কিপিং ম্যাচদে অনেকটাই জাঁকিয়ে বসার সুযোগ করে দিল অস্ট্রেলিয়াকে। দলে ফিরলেও রানে ফিরতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার (৫)। কিন্তু পুকোভস্কি এবং মার্নাস লাবুশেন দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দেন। অতিরিক্ত শট খেলার মাশুল দিতে গিয়ে পুকোভস্কি আউট হলেও অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে ৬০ রান যোগ করে অজিদের যথেষ্ট ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন লাবুশেন (৬৭ ব্যাটিং) এবং স্টিভ স্মিথ (৩১ ব্যাটিং)। গোটা দিনে ৩৫ ওভার খেলা নষ্ট হলেও দিনের শেষে দু’উইকেটে ১৬৬ রান তুলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। একটি করে উকেট পেয়েছেন মহম্মদ সিরাজ এবং নবদীপ সাইনি।
দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ হিসাবে পন্থের পিছনে যিনি দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন সেই রিকি পন্টিং বলছেন, “যে ক্যাচ ঋষভ ফেলেছে তা অবশ্যই নেওয়া উচিৎ ছিল। ওর কপাল ভালো যে এরকম অবিশ্বাস্যরকম ভালো উইকেট পেয়ে পুকোভস্কি শতরান বা দ্বিশতরান করে ফেলেনি। ঋষভ নিজের অভিষেক থেকে শুরু করে যত ক্যাচ ফেলেছে তা আর কোনও সমসায়িক কিপার ফেলেনি। নিজের কিপিং নিয়ে খাটতে হবে ওকে।“ অন্যদিকে পুকোভস্কির প্রশসায় পঞ্চমুখ পান্টার। বনলছেন, “পুকোভস্কি দেখিয়ে দিয়েছে যে ও টেস্ট ক্রিকেটের মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলোয়াড়। ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করল। সেটাই আমাকে সবচেয়ে মুগ্ধ করেছে। বড় রান না পেয়ে অবশ্য ও কিছুটা হলেও হতাশ হবে। তবে কাট, পুল এবং ব্যাকফুট পাঞ্চ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছে। ১০-১২ বছর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার ক্ষমতা রয়েছে ওর।“