বাংলার পেসার আকাশদীপকে নিয়ে লিখলেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
ছেলেটি বিহার থেকে কলকাতায় এসেছিলো ক্রিকেট খেলতে। ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে প্রথম তাকে খেলতে দেখা যায়। ভালো পারফরম্যান্স করে বাংলার অনূর্ধ-২৩ দলে সুযোগ পায় ২০১৮-১৯ মরশুমে। সেই বছর বাংলার অনূর্ধ-২৩ দলটি ভারত কাঁপানো পারফরম্যান্স করে। সি কে নাইডু ট্রফির খেলায় ফাইনালে পাঞ্জাবের কাছে মাত্র ১ উইকেটে হেরে যায়, কিন্তু ওয়ানডে টুর্নামেন্ট জিতে নেয় গুজরাট কে হারিয়ে। দুই প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ টি ম্যাচে প্রায় ৪৫ টির মতো উইকেট নেওয়া ছেলেটি সেবার মুস্তাক আলি ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলতে নেমে আর পিছন ফিরে তাকায়নি। বিগত দুই মরশুম বাংলা সিনিয়র দলের নির্ভরযোগ্য অস্ত্রের নাম হলো আকাশদীপ। প্রাক করোনা যুগে বাংলা শেষ রঞ্জি ট্রফির খেলায় ফাইনালে ওঠে। ফলে রঞ্জি ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। রবিবার আইপিএলে এ বার তাঁর অভিষেক হল আরসিবির হয়ে।
রঞ্জিতে ১১ ম্যাচে ৪৫ উইকেট পাওয়া আকাশদীপের ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টি বেশ ভাল রেকর্ড। লিস্ট এ খেলায় ১৬ ম্যাচে ২৫ আর টি-টোয়েন্টি খেলায় ২২ ম্যাচে ২৬। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে খেলায় গড়(১৮.৫৩), স্ট্রাইকরেট (১৭.৩০) ও ওভার প্রতি (৬.৪২) বেশ ভালো থাকায় এবারের নিলামে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে সুযোগ পান। প্রথম আই পি এল ম্যাচ অবশ্যই সুখস্মৃতি বহন করবে না তাঁর (৩-০-৩৮-১)। যদিও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলায় ১৫৮ স্ট্রাইক রেট সম্পন্ন ব্যাটার ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনকে আউট করাটা অবশ্যই তৃপ্তির। সেই ওভারেই আকাশের একটা ফুলার ডেলিভারিকে লং অফ দিয়ে ছয় মারেন লিভিংস্টোন। কিন্তু ওভারের পঞ্চম বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে ফুলার লেংথ। স্লাইস করার মতো ব্যাট চালালে বল ডিপ কভারের দিকে যায়, মাটিতে পড়ার ইঞ্চি খানেক আগে সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ লোফেন অনুজ রাওয়াত।
যদিও এর পরে আর বল পাননি তিনি। শেষ পাঁচ ওভারে ৫০ রান বাকি। উইকেট পেয়ে উৎসাহে থাকা বোলার বল পেল না। বাংলার আর এক বোলার শাহবাজ আহমেদ যদিও মাত্র এক ওভারে ৬ রান দেন। আশা করা যায়, আকাশদীপ ও শাহবাজ এবারের আইপিএলে আরও সুযোগ পাবেন।