গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিককে আউট করে তাঁর স্ত্রী নাতাশার দিকে তাকিয়ে কি ক্ষমা চেয়েছেন উমরান মালিক? খুঁজে দেখল স্পোর্টিওয়ার্ল্ড ২৪x৭-এর প্রতিনিধি অলিভিয়া ডায়াস
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ২৫ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সেই আগুনে পেসার উমরান মালিকের পাঁচ শিকারের মধ্যে রয়েছেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ম্যাচের পরে সেই হার্দিকের সঙ্গে উমরানের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে উমরান ও হার্দিক পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন। আর জম্মু ও কাশ্মীরের এই পেসার হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গ্যালারির দিকে মুখ করে। আর তা দেখছেন হার্দিকের স্ত্রী নাতাশা।
ম্যাচের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি দেখে নেটিজেনদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে, উমরান কি তাহলে হার্দিককে আউট করার জন্য নাতাশার দিকে তাকিয়ে ক্ষমা চাইলেন। পরে জানা গেল, তথ্যটি ঠিক নয়। রশিদ খান ও হার্দিকের সঙ্গে ওই সময় মজা করার ফাঁকে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে প্রণাম করছিলেন তাঁর নাতাশা ‘ভাবি’-কে।
এ দিকে উমরানের বলের গতি দেখার পরে আনন্দে আত্মহারা সুনীল গাভাসকার। এ বারের আইপিএলে উমরানের প্রতিদিনই ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করছেন। গুজরাতের বিরুদ্ধে উমরান প্রথম বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার মুহূর্তে গাভাসকার লাফিয়ে কমেন্ট্রি বক্সের ছাদে ঘুষি মেরে চিৎকার করতে থাকেন। জানিয়েছেন, তাঁর সহকারী ভাষ্যকার প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতে এমন মারাত্মক গতিসম্পন্ন বোলার দেখা যায় না। গতির সঙ্গে নিশানাও নিখুঁত। এ রকম বোলিং মুগ্ধ করতে বাধ্য। গাভাসকারও ভারতের এ রকম আগুনে গতির বোলার দেখে আনন্দে লাফিয়েছে।’’
গাভাসকার বলেন, ‘‘মারাত্মক জোরে বোলাররা একটা সময়ের পরে নিশানা ঠিক রাখতে পারে না। উমরান কিন্তু সারাক্ষণ প্রতিটি বল স্টাম্পে রেখে যাচ্ছে।’’ এ বারের আইপিএলে আট ম্যাচে ১৫ উইকেটে পেয়েছেন উমরান। তিনি বুধবার গুজরাতের ঋদ্ধিমান সাহাকে আউট করেছেন ১৫৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ধেয়ে যাওয়া ইয়র্কারে। উমরানের কথায়, ‘‘ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি গতিতে বল করতে চাই। উপরওয়ালা চাইলে একদিন সেটাও করতে পারব।’’