আপাতত ফোকাস আইপিএলে।
গুজরাট টাইটান্স ছেড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে নাটকীয় ভাবে যোগ দেওয়ার পর গুজরাটের সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন। মুম্বইয়ে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় ওয়াংখেড়েতেও বারবার বিদ্রুপের মুখে পড়েন। তবে দেশকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানোই জীবন আমূল বদলে দিয়েছে বলে জানালেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর মতে, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসাই তাঁকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে।
গতবার ওয়াংখেড়ে তো বটেই, আইপিএলের বিভিন্ন মাঠে বিদ্রুপের শিকার হন হার্দিক। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তাঁর অধিনায়ক হওয়া কেউই মানতে পারছিলেন না। দলের ফলাফল খারাপ হওয়ায় হার্দিকও সমর্থকদের মন জয় করতে পারেননি।
আইপিএলের আগে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে হার্দিক বলেছেন, ‘আমি কোনও দিন লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালাতে চাইনি। ক্রিকেট জীবনে এমন অনেক মুহূর্ত এসেছে যখন শুধু জেতা নয়, আমার টিকে থাকার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছিল। ঠিক করেছিলাম যা-ই হয়ে যাক না কেন, ক্রিকেট ছাড়লে চলবে না। ক্রিকেট বরাবরই আমার সবচেয়ে বড়ো বন্ধু থাকবে। তাই আমি প্রচণ্ড ভাবে নিজের উন্নতির চেষ্টা করেছি। কঠোর পরিশ্রম করেছি। সেটা কাজে লেগেছে।’
হার্দিকের সংযোজন, ‘আমার ওই ছ’টা মাসের কথা মনে পড়ছে। বিশ্বকাপ জেতার পর দেশে ফিরে যে ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছিলাম, সেটা আমার জীবনটাকে পুরো ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিয়েছে।’ গুজরাট থেকে ২০২৩-এর নভেম্বরে হার্দিক মুম্বইয়ে যোগ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই শুনতে হয়েছে সমালোচনা। সেই সময় থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ওই ছয় মাসের কথাই হার্দিক বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কঠোর পরিশ্রম করলে সাফল্য যে আসবেই, এই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন হার্দিক। বলেছেন, ‘আমি জানতাম না ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে। তবে লোকে যেমন বলে, ভাগ্যে যা লেখা থাকে তা আটকায় না। আমার ক্ষেত্রে আড়াই মাসে সবটা বদলে গিয়েছে।’
গতবার আইপিএলে সবার নীচে শেষ করেছিল মুম্বই। তবে মহা নিলামের পর দলে ভারসাম্য এসেছে বলে মনে করেন হার্দিক। বলেছেন, ‘আগের ভুলগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে দল তৈরি করেছি। এবারের দলটা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। অনেকেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে দীর্ঘ দিন ক্রিকেট খেলেছে। আশা করি ভালো কিছু হবে।’
ওয়াংখেড়ের পিচের কথা ভেবেই দল তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হার্দিক। তাঁর কথায়, ‘আইপিএলে মুম্বইয়ের মাঠে, বিশেষ করে ওয়াংখেড়ে খেলা খুব কঠিন। কারণ এখানকার পিচে প্রচুর রান ওঠে। তাই আমরা এমন বোলার চেয়েছি যাদের অভিজ্ঞতা, গতি এবং সুইং ও বাউন্স করার ক্ষমতা রয়েছে। মনে হয় একটা ভারসাম্যযুক্ত দল তৈরি করতে পেরেছি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সব চাহিদা পূরণ হয়েছে।’