• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

কটকে রাজকীয় মেজাজে শতরান হাঁকিয়ে ভারতকে জেতালেন রোহিত

 
যাবতীয় কটাক্ষ, সমালোচনার জবাব ব্যাটেই দিলেন হিটম্যান।


তিনি ফিরলেন রাজার মতোই! রাজার হালে ফিরলেন। বিপক্ষের মনে ভয় ধরিয়ে ফিরলেন। বহু বহু দিন পর দেখা গেল সেই চেনা হিটম্যানকে। আর রোহিত শর্মা ফর্মে ফিরলেন ঠিক মোক্ষম সময়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগে। একাই একশো রোহিত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের মঞ্চও তৈরি করে দিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না ভারত অধিনায়ক। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে সংগ্রহ মাত্র ৩১ রান। ব্যর্থ হয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। এমনকী তাঁর অবসর নিয়েও কথা উঠতে শুরু করেছে। আর সেই সব কিছুর মুখ বন্ধ করে দিলেন তিনি।
কটকে জয়ের জন্য লক্ষ্যটা বেশ বড়ো রেখেছে ইংল্যান্ড। ৩০৫ রান তাড়া করতে মাঠে নামেন রোহিত ও গিল। সেখানে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করলেন রোহিত। চার-ছক্কার বন্যায় ভাসিয়ে দিলেন বরাবাটি স্টেডিয়ামে। মাত্র ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন। যা তাঁর ওয়ানডে কেরিয়ারের ৫৮তম হাফসেঞ্চুরি। তখনই হাঁকিয়েছেন ৪টি চার ও ৪টি ছয়। যেন ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টি খেলছেন।
মাঝে স্টেডিয়ামের আলো নিভে যায়। কিন্তু তারপরও রোহিতের ব্যাটের আতশবাজির আলো রংমশাল ছড়িয়েছে। দেখে মনে হল, স্টান্সে কিছুটা বদল এসেছে। কিন্তু পুল শট বা ফ্লিক, এগিয়ে এসে ছক্কা কোনওটায় বদল আসেনি। সমস্ত সমালোচনা বন্ধ করে দিলেন ব্যাট দিয়েই। অবশেষে সেই বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি। আর সেটাও এল ছক্কা হাঁকিয়ে, মাত্র ৭৬ বলে। 
কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। এই ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হল বরুণ চক্রবর্তীর। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো এখানে ম্যাজিক দেখাতে পারলেন না। ১০ ওভারে দিলেন ৫৪ রান। সংগ্রহ মাত্র ফিল সল্টের উইকেট। শুরুতে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। দু’জনের জুটিতে ওঠে ৮১ রান। সেটা ভাঙেন বরুণই। অবশ্য অক্ষর প্যাটেল সহজ ক্যাচ না ছাড়লে, অনেক আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরতেন সল্ট।
ডাকেটের ঝড় থামালেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৫৬ বলে ৬৫ রান করে ফেরেন ইংরেজ ওপেনার। সেখান থেকে রানের গতি কিছুটা কমে যায় জাদেজার সৌজন্যে। একদিকে যেমন রানের গতিতে বাঁধন দেন, তেমনই তুলে নেন ডাকেট, রুট ও জেইমি ওভারটনের উইকেট। তার মধ্যেও জো রুট ৬৯ রান করে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে শক্ত মাটিতে দাঁড় করিয়ে ফেরেন। তবে দিনের সেরা মুহূর্ত হতে পারে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচটি। হর্ষিত রানার বলে পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে বল তালুবন্দি করেন গিল। বাটলারকে (৩৪) ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। শেষবেলায় জ্বলে উঠলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩২ বলে ৪১ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন। অন্যদিকে ৫ বলে ১৪ রানের ‘ক্যামিও’ ছিল আদিল রশিদের। শামি ৭.৫ ওভারে বিলোলেন ৬৬ রান। 
জবাবে ৪৪.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান তুলে নেয় ভারত। ১১৯ রানে আউট হন রোহিত। তবে রান পাননি বিরাট(৫)। শুভিমন গিল ৬০ রান করেন। পাশাপাশি শ্রেয়স আয়ার করেন ৪৪ রান। এক সময় পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু অক্ষর অপরাজিত থেকে ৪১ রান করে ভারতকে জিতিয়ে দেন।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top