• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল কেকেআর

৮০ রানে জয় পায় নাইটরা। 

ম্যাচ শুরুর আগে নেই ভিড়ভাট্টা। মাঠে ঢোকার জন্য নেই হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি। তখনই বোঝা গিয়েছিল, কী হতে চলেছে। শেষ পর্যন্ত ভরল না ইডেন। তিন ম্যাচের দু’টিতে হেরে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাই কেকেআরের মারকাটারি খেলা দেখার আশা হয়তো ছিল না শহরের মানুষের। তবুও নন্দনকানন ভরাটের রসদ ছিলেন অন্য একজন মানুষ। শাহরুখ খান। মাঠে উপস্থিত লোকজন হামেশাই উঁকিঝুঁকি মারলেন কর্পোরেট বক্সের দিকে। যদি একবার দেখা মেলে। কিন্তু নাহ! বাদশার দেখা নেই রে, বাদশার দেখা নেই...
স্পিন সহায়ক উইকেট। তাই একজন পেসার কম খেলিয়ে বাড়তি স্পিনারের দিকে ঝোঁকে কেকেআর। স্পেনসর জনসনকে বসতে হয় এই ম্যাচে। পরিবর্তে সুযোগ পান মইন আলি।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ঘরের ছেলে মহম্মদ শামি পরিচিত উইকেটে ক্যারিশমা দেখান। যদিও তার আগে কামিন্স নিজে কুইন্টন ডি কককে সাজঘরে ফেরান। পরের ওভারেই শামির শিকার সুনীল নারিন। নাইট রাইডার্সের দুই ওপেনার এই ম্যাচেও চূড়ান্ত ব্যর্থ। এরপর অবশ্য অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে এবং অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ম্যাচের হাল ধরেন। দুই ডানহাতি রানরেট তুলে নিয়ে যান প্রায় ৯-এর কাছাকাছি।
২৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হন রাহানে। জিশান আনসারির শেষ বলে রিভার্স সুইপ মারতে যান তিনি। বল গ্লাভসে লেগে জমা হয় হেনরিখ ক্লাসেনের বিশ্বস্ত হাতে। পরের ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে বেঁচে যান অঙ্গকৃশ। কিন্তু বেশিক্ষণ টেকেননি তিনি। ৩২ বলে ৫০ রান করে হর্ষলের হাতে ধরা দেন তিনি। রাহানে-অঙ্গকৃশ ফিরতেই রানরেট কমে প্রায় ৮-এ চলে আসে কেকেআরের। কিন্তু রিঙ্কু সিং ছিলেন এদিন পুরোনো মেজাজে। বেঙ্কটেশ আয়ারকে সঙ্গে নিয়ে কেকেআরকে দারুণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। কম যাননি বেঙ্কিও। ২৩ কোটি টাকা দিয়ে কেনার পর থেকে এই প্রথম বড়ো রান করলেন তিনি। সমালোচকদের বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাঁর ওই অর্থ প্রাপ্য। মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন বেঙ্কটেশ। ২৯ বলে ৬০ রান করে তিনি যখন আউট হন, তখন নাইটরা ২০০-র দোরগোড়ায়। অন্যদিকে, রিঙ্কু ১৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২০০ রান করে কেকেআর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইডেনের পিচে সমস্যায় পড়ে হায়দরাবাদ। দলের অন্যতম ভরসা ট্রাভিস হেড মাত্র ৪ রানে আউট হয়ে যায়। এরপর দলের অপর দুই তারকা অভিষেক শর্মা (২) ও ইশান কিসান (২) দ্রুত ফিরে যান সাজঘরে। এরপর কেকেআর বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে থাকেন নীতিশ কুমার রেড্ডি ও কামেন্দ্রু মেন্ডিস। কিন্তু নীতিশও ফেরেন ১৯ রান করে। এরপর কিছুটা চেষ্টা করেন ক্লাসেন। তিনি ২১ বলে ৩৩ রান করেন। তবে শেষ অনিকেত ভার্মা (৬), অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ( ১৪), সিমরানজিং সিং (০) লড়াই করতে পারেননি কেকেআর বোলারদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ১৬.৪ ওভারে ১২০ রানে অল আউট হয়ে যায় সানরা। ৮০ রানে জয় পায় কেকেআর। 
কেকেআর বৈষভ আরোরা ২৯ রানে ৩টি উইকেট নেন। বরুণ চক্রবর্তীও ৩ উইকেট নেন। রাসেল ২টি,  নারিন ও হর্ষিদ ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন।  

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top