শোকস্তব্ধ বাংলার ক্রিকেটে। কলকাতায় মরদেহ উড়িয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ সিএবি-র। আজ সিএবি পরিচালিত সব খেলাতেই পালন করা হবে এক মিনিট নীরবতা পালন।
সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫। মিজোরাম অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নজরও কেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার রাতে আকষ্মিক প্রয়াণ ঘটল বাংলার প্রাক্তন বোলার মুর্তাজা লোধগারের। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই শুক্রবার রাতে প্রয়াত হন তিনি। সকলের প্রিয় ও অজাতশত্রু এই ক্রিকেটারের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার ক্রিকেট মহল।
সিএবি-র তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবার প্রয়াত ক্রিকেটারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্ধনমিত থাকবে পতাকা। শনিবার টি-টোয়েন্টি লিগের ম্যাচেও এক মিনিট নীরবতা পালন হবে প্রয়াত মুর্তাজার স্মরণে। সিএবি-র তরফ থেকে চেষ্টা চলছে তাঁর মরদেহ কলকাতায় উড়িয়ে আনার জন্য। শোকপ্রকাশ করেছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া, সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বাকি কর্তা ও খেলোয়াড়েরা।
একসময় নব্বইয়ের দশকের সেরা উঠতি বোলার ছিলেন মুর্তাজা লোধগার। ১৯৯২-৯৩ থেকে ১৯৯৫-৯৬ পর্যন্ত বাংলা ও পূর্বাঞ্চলের হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ২৯ ম্যাচে ৯০ উইকেট নেন। ৫ বার ৫ উইকেট, সেরা ৫ রানে ৬ উইকেট।
উৎপল চট্টোপাধ্যায় অনুপস্থিত থাকার জন্য ১৯৯৭-৯৮ সালে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৮ ওভারে ২৭টি মেডেন সহ ৩৩ রানে ৪ টি উইকেট নেন। কিন্তু ২০০৪/০৫ এর আগে আর রঞ্জি খেলেননি। ইতিমধ্যে মঈন-উদ-দৌলা, বুচিবাবু বা সফররত ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে সিএবি ও বাংলার হয়ে খেলেছেন। বুচিবাবু ক্রিকেটে ২ ম্যাচে ২১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
যাই হোক, ২০০৪/০৫ মরশুমে রঞ্জিতে ৬ ম্যাচে ২২ উইকেট নেন। কিন্তু আবার বসে যান ও ২০০৭/০৮ মরশুমে ২ ম্যাচে ৮ উইকেট নেন। মাত্র ৯টি ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট ম্যাচে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। শেষ বার ২০০৭ সালে যখন রঞ্জি খেলেন তখন ঋদ্ধিমান সাহা, মনোজ তিওয়ারি, লক্ষ্মীরতন শুক্লরা ছিলেন তাঁর সতীর্থ।
ডার্বিশায়ার প্রিমিয়ার লিগে ২০০৪/০৫ মরশুমে ১৭ ম্যাচে ৩৩৭ রান করেন ও ৩৩ উইকেট নেন।
খেলা ছাড়ার পরে কোচিং করতেন। মহিলা বাংলা দলের কোচ হয়েছিলেন। বর্তমানে মিজোরাম অনুর্ধ-১৯ দলের এই কোচ দক্ষিণ ভারতের বিশাখাপত্তনমে থাকার সময় প্রবল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিদায় নিলেন। রেখে গেলেন স্মৃতি। যা থেকে যাবে বাংলা ক্রিকেটের মণিকোঠায়।