৬ উইকেটে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার দিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক করে পালটা অজিদেরই কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন প্রোটিয়ারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার পর মঙ্গলবার বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে রানরেটটাও চাঙ্গা করে নিল টেম্বা বাভুমার দল।
এদিন বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। টসে জিতে বঙ্গব্রিগেডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক। রাবাদা-নর্তজের পেসে ধরাশায়ী হয়ে ১৮.২ ওভারে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। চোটের কারণে দেশে ফিরে গিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আর সাকিবের অভাব যে দারুণ ভাবে টের পেয়েছে বাংলাদেশ, তা ভালোই বোঝা গিয়েছে।
বাংলাদেশের মাত্র তিন ব্যাটার দুই অঙ্কের মুখ দেখেছেন। ওপেন করতে নেমে লিটন দাস ২৪ রান করেন। এছাড়া শেষ দিকে সামিম হোসেন ১১ এবং সর্বোচ্চ রান আসে মেহেদি হাসান মিরাজের (২৭) ব্যাট থেকে। মেহেদি এই লড়াই না চালালে আরও বড় লজ্জার মুখে পড়ত বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শুরুতেই বিধ্বংসী মেজাজ ধারণ করেন কাগিসো রাবাদা। আর ইনিংসের শেষে নর্তজের পেসে ধরাশায়ী হয় বাংলাদেশ। এই দুই পেসারই তিনটি করে উইকেট নেন। দু’টি উইকেট পেয়েছেন তাবারেজ শামসি। প্রিটোরিয়াসের ঝুলিতে এক উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ইনিংসও যে খুব ভালো শুরু হয়েছে, তা নয়। প্রথম ওভারে রেজা হেনড্রিকসের উইকেট হারায় তারা। দ্রুত ফিরে যান কুইন্টন ডি ককও। চূড়ান্ত ব্যর্থ এডেন মার্করাম। তবে ভ্যান ডার দুসেন এবং বাভুমা দলকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে নিয়ে যান। দুসেন শেষ মুহূর্তে ফিরে গেলেও, বাকি কাজটি মিলারকে নিয়ে সহজেই সেরে ফেলেন বাভুমা। ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে দু’টি উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। শুরুতেই দুরন্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন রাবাদা।
এই জয়ের ফলে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। এখনও পর্যন্ত সব ম্যাচে জয় পাওয়া ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবেন প্রোটিয়ারা। সেক্ষেত্রে অবশ্য অজিদের লড়াই অপেক্ষাকৃত সহজ। তাদের বাকি দু’টি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাই দ্বিতীয় দল হিসাবে কে যাবে সেমিফাইনালে, তা জানতে তাকিয়ে থাকতে হবে একেবারে শেষ পর্যন্ত।