রঞ্জি ট্রফির প্রথম দিনেই ভাল রান করেছে বাংলা। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে প্রথম রঞ্জি-শতরান করলেন বাংলার সুদীপ ঘরামী। রান করছেন অনুষ্টুপ মজুমদারও। অপরাজিত এই দুই ব্যাটারেরই প্রশংসা করেছেন বাংলা কোচ মঙ্গলবার সারা দিন ব্যাট করার পরিকল্পনা বাংলার। রঞ্জি ম্যাচের প্রতিবেদন স্পোর্টিওয়ার্ল্ড ২৪x৭-এর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের
রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিনের খেলার শেষে বাংলা ১ উইকেটে ৩১০ রান তুলেছে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে। বাংলার সুদীপ ঘরামি অপরাজিত ১০৬ ও অনুষ্টুপ মজুমদার অপরাজিত ৮৫ রানে। দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭৮ যোগ করেন।
রঞ্জি ট্রফিতে জীবনের প্রথম ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি পেয়ে সুদীপ জানিয়েছেন যে তিনি বাংলার হয়ে শতরান করে খুবই আনন্দিত। তিনি স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে চান। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন দল তখন তাঁকে সাহায্য করেছে প্রচুর। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও অনুষ্টুপ মজুমদার তাঁকে সমানভাবে পরামর্শ দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার হয়ে শতরান করতে পেরে দারুণ লাগছে। নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে গিয়েছি। প্রথম দিকে কিছুটা সময় লেগেছিল উইকেট বুঝতে। তারপর নিজের শট খেলে গিয়েছি। অনুষ্টুপ ও ঈশ্বরণ এই সময়ে বেশ সাহায্য করেছে।’’ জুড়ে দিয়েছেন, ‘‘উইকেট ভাল আছে। পেসাররা সুবিধে পেলেও আমরা ভাল ব্যাট করে বাল রান করেছি। খারাপ বল এলেই তার সুবিধা নেওয়া গিয়েছে। নিজের সেরাটা দিয়ে তিনি বাংলার জন্য রঞ্জি ট্রফি জিততে চাই।’’
গত মরশুমে অর্থাৎ ২০১৯-২০ রঞ্জি ফাইনালে অভিষেক হওয়া সুদীপ এর আগে মাত্র চারটি রঞ্জি ম্যাচ খেলেছেন। এই মরশুমে প্রথম দিকে তেমন একটা সফল না হলেও স্থানীয় ক্লাব ক্রিকেটে এবার ইস্টবেঙ্গল দলের সাফল্যের পিছনে তাঁর বেশ অবদান আছে। সেই অভিজ্ঞতা তিনি এখানে কাজে লাগিয়েছেন। প্রথম দিনের খেলার শেষে সুদীপের প্রশংসা করেছেন দলের কোচ অরুণলালও। তিনিও বলেন, ‘‘প্রথম দিনে আমাদের পারফরম্যান্স ভালই হয়েছে। সুদীপ আমাদের দলের একজন বিশেষ ক্রিকেটার। প্রকৃত টিমম্যান। ওকে কখনও কোনও অভিযোগ করতে দেখিনি। এই মুহূর্তে ও দেশের সেরা পাঁচজন ফিল্ডারের মধ্যে একজন ও বাংলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ।’’ বাংলার কোচ আরও বলেন, ‘‘উইকেট থেকে পেসারেরা সুবিধা পেয়েছে। তবে অভিষেক রমন ও অভিমন্যু ঈশ্বরন ভালই সামলেছে ঝাড়খণ্ডের পেসারদের। আর অনুষ্টুপ তো আমাদের চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। সুদীপ ও অনুষ্টুপ – দু’জনের কাছ থেকেই দ্বিশতরান রান চাই। দ্বিতীয় দিন সারা দিন ব্যাট করাই লক্ষ্য আমাদের।’’ এ দিন চোট পেয়ে আহত ও অবসৃত হন রমন। তবে বাংলার কোচ জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবার ব্যাট করবেন।
রঞ্জির অন্য ম্যাচে, মুম্বই ৩ উইকেটে ৩০৪ রান তুলেছে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে। মুম্বাইয়ের সুবেদ পার্কার অপরাজিত ১০৪ রানে। এটি তাঁর অভিষেক রঞ্জি ম্যাচ। মুম্বইয়ের ১৫ তম ব্যাটার হিসেবে রঞ্জি ট্রফির অভিষেক ম্যাচে শতরান করলেন তিনি। এছাড়া এস এন খান ৬৯ রানে ব্যাট করছেন। আরমান জাফর ৬০ রান করেছেন। উত্তরাখণ্ডের ধাপোলা ৫৩ রানে ৩ উইকেট নেন। অন্য দিকে, কর্ণাটক (২১৩/৭; বনাম উত্তরপ্রদেশ) ও পাঞ্জাব (২১৯ বনাম মধ্যপ্রদেশ) বেশ সমস্যায়। কর্ণাটকের সমর্থ কেবল ৫৭ করেন। উত্তরপ্রদেশের সৌরভ কুমার ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন।
ছবি সৌজন্য: সিএবি।