ভারতের 'ফুটবলের বাড়ি' সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে দেখা যাবে ১৬০০-এরও বেশি ম্যাচ; এক্সক্লুসিভ টিভি ব্রডকাস্ট ও ডিজিটাল স্বত্ত্ব সোনির
ভারতের অগ্রণী সম্প্রচারকারী সংস্থা সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়ার (এস পি এন আই) সঙ্গে নিজেদের গাঁটছড়ার মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়াল ইউনিয়ন অফ ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনস (উয়েফা)। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতাগুলি হল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা ইউরোপা লিগ, উয়েফা কনফারেন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ এবং উয়েফা ইউথ লিগ। এই সবক'টি লিগই এবার দেখা যাবে শুধুমাত্র সোনি নেটওয়ার্কে। যারা টিভি সম্প্রচারের পাশাপাশি ডিজিটাল সম্প্রচারেরও দায়িত্বে রয়েছে।
উয়েফা এবং এস পি এন আই-এর মধ্যে পুনর্নবীকৃত এই চুক্তি বলবৎ থাকবে ২০২৪-২৫ মরশুম থেকে ২০২৬-২৭ মরশুম পর্যন্ত। যার জেরে তিন মরশুম মিলিয়ে ১৬০০-এরও বেশি ম্যাচ তাদের বিভিন্ন চ্যানেলে সম্প্রচার করতে পারবে সোনি। ফলে ভারতীয় দর্শকদের সামনে থাকছে বিরাট সুযোগ। একদিকে তাঁরা যেমন রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্ন ম্যুনিখ, আর্সেনাল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, লিভারপুলের মতো প্রিয় দলের খেলা দেখতে পারবেন তেমনই সুযোগ পাবেন কিলিয়ান এমবাপে, মো সালা, আর্লিং হালান্দ, ব্রুনো ফার্নান্ডেজ, জুড বেলিংহ্যাম, হ্যারি কেন, রবার্ট লেওয়ানডস্কিদের মতো প্রিয় তারকাদের সমর্থনে গলা ফাটানোর। ভারতীয় উপমহাদেশে খেলা সম্প্রচারিত হবে সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কের বিভিন্ন চ্যানেলে। এছাড়াও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ম্যাচগুলি লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে সোনি লিভ-এ।
২০২৪-২৫ থেকে নতুন ফর্ম্যাটে এবং নতুন চেহারায় আসছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। আসন্ন মরশুম থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলবে অতিরিক্ত চারটি ক্লাব। ফলে লিগ পর্যায়েই ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলির বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাবে এই চারটি ক্লাব। সিঙ্গল লিগ ফর্ম্যাটে এবার অংশ নেবে ৩৬টি দল। যাদের একই পংক্তিতে রাখা হয়েছে। ফলে শীর্ষস্থানীয় দলগুলির মধ্যে আরও বেশি ম্যাচ দেখার সুযোগ পাবেন ফুটবল ভক্তরা। একইসঙ্গে, আরও বেশি চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠবে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ। তার উপর, অন্যান্যবারের মতো এবার জানুয়ারি মাসে উয়েফার কোনও প্রতিযোগিতা বন্ধ রাখা হচ্ছে না। ফলে আগস্ট থেকে মে মাস পর্যন্ত টানা চলবে ইউরোপীয় ফুটবল।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাই করা ম্যাচগুলি হিন্দি, তামিল ও তেলুগুতেও সম্প্রচার করবে সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে আঞ্চলিক ভাষার দর্শকসংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ২০২০-২১ মরশুমে যেখানে আঞ্চলিক ভাষার দর্শকসংখ্যা ছিল ২৫ শতাংশ তা ২০২২-২৩ মরশুমে বেড়ে ৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে।