মেসির জোড়া গোল।
কিলিয়ান এমবাপের হ্যাটট্রিক। তবুও টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসল আর্জেন্তিনা।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পরে বিশ্বকাপ জিতলেন লিওলেন মেসিরা।বিরতর সময় দু’গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। শুধু তাই নয় ৮০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা।অনেকে যখন ধরেই নিয়েছেন বিশ্বকাপ ফাইনাল একেবারে একপেশে ম্যাচে পরিণত হয়েছে, তখনই যাবতীয় সমীকরণ ঘেঁটে দিল ফরাসি ব্রিগেড। ম্যাচের বয়স তখন ৮০ মিনিট। পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করলেন এমবাপে। মাত্র এক মিনিট পর কোমানের পাস থেকেও আরও একটি গোল পিএসজি স্ট্রাইকারের। আর তাতেই সমতায় ফেরে ফ্রান্স। আসলে ডি মারিয়াকে তুলে নেওয়ায় খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়ে আর্জেন্টিনার ডিফেন্স ও সাপলাই লাইন। সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন এমবাপে। আর ইনজুরি টাইমে মেসির নিশ্চিত গোল আটকে দিয়ে খেলা এক্সট্রা টাইমে নিয়ে গেলেন হুগো লরিস। তিনি তেকাঠির নিচে দাঁড়িয়ে বাস্তিল দূর্গ না সামলালে ৯০ মিনিটেই বিশ্বজয় করতেই পারতেন মেসিরা।
তবে নির্ধারিত সময়ে আটকে দিলেও এক্সট্রা টাইমে তাঁকে আর রোখা গেল না। ডান পায়ে গোল করে আবারও এগিয়ে দেন দলকে। একাই লড়ে গেলেন ক্রমাগত। কিন্তু কে জানত তখনও গতবারের চ্যাম্পিয়নদের স্বপ্নভঙ্গ হতে দেননি এমবাপে। ঠান্ডা মাথায় ২৩ বছরের ফরাসি তারকা পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ফের অক্সিজেন দেন। আর সেই সঙ্গে কনিষ্ঠতম তারকা হিসেবে ফাইনালে হ্যাটট্রিকের নজির গড়লেন তিনি। কিন্তু আফসোস একটাই। ঈশ্বরিক পারফর্ম করেও ট্রফি ঘরে তোলা হল না তাঁর। আর্জেন্তিনাই শেষ পর্যন্ত জিতল বিশ্বকাপ।