আশায় দুই প্রধানের সমর্থকরা।
কথায় বলে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। বোধহয় ভুলই বলে। এই প্রবাদটা যখন প্রচলিত হয়েছিল, তখন বোধহয় চতুর্দশটির সূচনা হয়নি। তাই যুগ যুগ ধরে সেই ১৩-ই চলে আসছে। তাই এ যুগে প্রবাদটা বোধহয় একটু পাল্টে নেওয়াই ভাল। বাঙালির আসলে ১৪ পার্বন। আর চতুর্দশ পার্বন যেটি, রাত পোহালেই সেই পার্বন নিয়ে উত্তাল হবে সারা বাংলা তথা ভারত। সারা বিশ্ব বললেও বোধহয় ভুল বলা হবে না। যার নাম ‘কলকাতা ডার্বি’। বাঙালির প্রিয় বড় ম্যাচ।
কলকাতা ডার্বি মানেই বাঙালি জাতির দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়া। এক ভাগের হাতে লাল-হলুদ পতাকা, অন্য দলের হাতে সবুজ-মেরুন। ডার্বি ঘিরে দিন কয়েকের উত্তেজনা যখন উন্মাদনার পর্যায়ে পৌঁছয়, তখন সেই গানটার কথা সবার মনে পড়ে, ‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল’।
ভারতের সেরা ফুটবলের আসর হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগেরও অন্যতম অঙ্গ সেই ডার্বি। যা প্রতি মরশুমে আসে দু’বার করে। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালি ফুটবলপ্রেমীরা যদিও হৃদয় থেকে চান শুধু এই দু’বার নয়, আরও বেশিবার হোক এই দ্বৈরথ, এমনকী ফাইনালেও দেখা হোক গঙ্গাপাড়ের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্লাবের, যেমনটা দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় ফুটবলের আসরে আগেও হয়েছে বহুবার। তাঁদের আশা নিশ্চয়ই অদূর ভবিষ্যতে মধ্যেই পূরণ হবে। তবে চলতি লিগে শনিবারই শেষ ডার্বি হতে চলেছে।