নৌসেনাকে ২-০ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন।
কার্যত দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে ভারতীয় নৌসেনাকে ২-০-য় হারাল এটিকে মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় জয়ের ফলে নক-আউট পর্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও তাদের অপেক্ষা করতে হবে রাজস্থান ইউনাইটেডের শেষ ম্যাচের ফলের জন্য। আগামী সোমবার ওই ম্যাচে রাজস্থান এই নৌসেনাকেই হারালে আর তাদের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হবে না।
বুধবার কলকাতার কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কিয়ান নাসিরি ও লেনি রড্রিগেজের গোলে জেতে সবুজ-মেরুন বাহিনী। দু’টি গোলই হয় প্রথমার্ধে। জিততেই হবে, এমন পরিস্থিতিতে মাঠে নামলেও ডার্বির প্রথম এগারোয় থাকা আটজন ফুটবলারকে বাইরে রেখে এ দিন দল নামান এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। রক্ষণে সুমিত রাঠি, রবি রাণা, মাঝমাঠে লালরিনলিয়ানা হ্নামতে, অভিষেক সূর্যবংশী ও আক্রমণে ফারদিন, কিয়ানের মতো তরুণদের ওপর আস্থা রাখেন তিনি। প্রথম এগারোয় কোনও বিদেশি না রাখার ঝুঁকিও নেন ফেরান্দো। সারা ম্যাচে কোনও বিদেশিকে নামাননি তিনি। এই আস্থার দামও তাঁরা দিয়েছেন।
মাঝমাঠ থেকে এ দিন কিছুটা উঠে খেলার প্রবণতা দেখা যায় অভিজ্ঞ লেনি রড্রিগেজের মধ্যে। ১৮ মিনিটের মাথায় তাঁরই অসাধারণ গোলেই এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে ফারদিনের পাস থেকে যখন বাঁ পায়ে গোলে শট নেন, তখন তাঁকে জনা পাঁচেক ডিফেন্ডার ঘিরে ধরেন। কিন্তু তাঁরা লেনিকে আটকাতে পারেননি (১-০)। গোলের চার মিনিট পরেই বক্সের বাইরে থেকে ফের সোজা গোলে শট নেন লেনি। কিন্তু নৌসেনা দলের গোলকিপার বিষ্ণু বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে প্রায় অবধারিত গোল বাঁচান। দ্বিতীয় গোলের জন্য অবশ্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি সবুজ-মেরুন শিবিরকে। ২৮ মিনিটের মাথায় কিয়ান দলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন। এ বারেও ফারদিনের পাস থেকেই গোল হয়। বক্সের বাইরে থেকে তিনি ফরোয়ার্ড পাস দেন বক্সে থাকা কিয়ানকে। তাঁকে একাধিক ডিফেন্ডার পিছন থেকে বাধা দিলেও সামনে ছিলেন শুধু গোলকিপার বিষ্ণু, যাঁর বাঁদিক দিক দিয়ে বল গোলে ঠেলে দেন তরুণ ফরেয়ার্ড (২-০)।