ম্যাচের ফল ২-২।
‘হাড্ডাহাড্ডি লড়াই’ বলে রবিবার রাতে মুম্বই ফুটবল এরিনার ফুটবল-যুদ্ধের তীব্রতাকে সঠিক ভাবে বোঝানো সম্ভব নয়। শুধু ‘উপভোগ্য’ শব্দ ব্যবহার করলে এটিকে মোহনবাগান ও মুম্বই সিটি এফসি-র মধ্যে ম্যাচটি সম্পর্কে সঠিক বিশেষণ দেওয়া হয় না। উত্তেজনার চরম উপাদানে ঠাসা রোমহর্ষক এক ফুটবল দ্বৈরথ বললে তাও কিছুটা কাছাকাছি যেতে পারে, কিন্তু তাতেও অনেকে অখুশি থেকে যেতে পারেন।
দু’পক্ষের দু’টি করে গোল, অসংখ্য গোলের সুযোগ, অজস্রবার ক্রসবারে লেগে ফিরে আসা, দুই দলের ওঠানামার গতিতে অভাবনীয় ক্ষিপ্রতা ও দু’পক্ষের রক্ষণের মরিয়া লড়াই— সব কিছুই মজুত থাকা রবিবারের এই ম্যাচকে এখন পর্যন্ত এই মরশুমের সেরা ম্যাচের তকমা দেওয়া যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল হয় ২-২। অর্থাৎ এ বারেও এটিকে মোহনবাগান হিরো আইএসএলে তাদের সবচেয়ে বড় হার্ডলটি পেরোতে পারল না।
হুয়ান ফেরান্দো কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগান দ্বিতীয় ম্যাচেও ড্র করল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই লালরিনজুয়ালা ছাঙতের গোলে মুম্বই এগিয়ে যাওয়ার পরে ৪৭ মিনিটের মাথায় মেহতাব সিংকে নিজ গোলে বাধ্য করেন জনি কাউকো। ৭২ মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডার রস্টন গ্রিফিথের গোলে ফের এগিয়ে যায় মুম্বই সিটি এফসি। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষের ঠিক এক মিনিট আগে দ্বিতীয় গোলও শোধ করে দেন সবুজ-মেরুন মিডফিল্ডার কার্ল ম্যাকহিউ।
বাড়তি সময়ে জয়সূচক গোলেরও সুযোগ পান দিমিত্রিয়স পেট্রাটস। কিন্তু বারে লেগে বল ফিরে আসে। এ ভাবে এ দিন কতবার যে দু’পক্ষের ফুটবলারদের গোলমুখী শট বিপক্ষের ক্রসবারে প্রতিহত হয়েছে, তার সঠিক হিসাব দেওয়া বেশ কঠিন। এখানেই শেষ নয় লেনি রড্রিগেজ লাল কার্ড দেখায় এটিকে মোহনবাগানকে শেষ ১৯ মিনিট দশজনে খেলতে হয়। তা সত্ত্বেও তাঁরা গোল শোধ করে এবং ম্যাচ জেতার জায়গাতেও চলে গিয়েছিল। কিন্তু মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয়ভাগ্য তাদের সঙ্গে বরাবরের মতো এ দিনও থাকেনি।