সতর্ক সবুজ-মেরুন শিবির।
দেশের ক্লাব ফুটবলে বাংলার সুদিন কি ফিরে আসবে? নাকি দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেতাব সন্তোষ ট্রফি জয়ের পর এ বার কর্নাটকের দল অর্জন করবে দেশের সেরা ক্লাব লিগের খেতাবও? এই দুই প্রশ্নের উত্তরই পাওয়া যাবে শনিবার রাতে, হিরো আইএসএল ২০২২-২৩ ফাইনালের পর। কিন্তু জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই।
বাংলার ফুটবলে সবুজ-মেরুন বাহিনী মানেই ইতিহাস, ঐতিহ্য সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া। এটিকে মোহনবাগান সেই ঐতিহ্য বহন করেই বৃহস্পতিবার গোয়ার মাটি ছুঁয়েছে। শনিবার তাদের আর চ্যাম্পিয়নের ট্রফির মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকবে বেঙ্গালুরু এফসি। দেশের সেরা ফুটবল তারকা সুনীল ছেত্রীর নেতৃত্বাধীন দলটাকে সেই জায়গা থেকে সরিয়ে দেশের সেরা ফুটবল লিগের খেতাবটা জিততে হবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে।
কাজটা যে সহজ হবে না। তা সবাই জানে। কিন্তু সহজেই ফাইনালে জিতে খেতাব অর্জনে কি আর সেই তৃপ্তি আছে, যা প্রাণপাত করে জেতার মধ্যে রয়েছে? তাই কাজটা যত কঠিনই হোক, জেতার সংকল্প নিয়েই শনিবার ফতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে নামবে এটিকে মোহনবাগান। যেখানে তারা ৫৮ শতাংশ (২৯ ম্যাচে ১৭ জয়) ম্যাচে জিতেছে। এ দিক দিয়ে বেশ পিছিয়ে ছেত্রী-বাহিনী। ফতোরদায় তাদের সাফল্যের শতকরা হিসাব মাত্র ২১ শতাংশ (১৯ ম্যাচে ৪টি জয়)।
শুক্রবার সাংবাদিরদের মুখোমুখি হয়ে যখন দলের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলেই দিলেন, “আমি জানি, আমরাই এই লিগে সেরা দল”, তখন দলের তারকা স্ট্রাইকার মনবীর সিংও তাঁর সঙ্গে প্রায় গলা মিলিয়ে বললেন, “আমরা তো এখানে চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছি। তাই জয় ছাড়া অন্য কোনও ফলের কথা ভাবতেই পারছি না”। দলের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দোরও তাঁর দলের ছেলেদের ওপর যথেষ্ট আস্থা আছে। তাই তাঁরও বিশ্বাস হিরো আইএসএল ট্রফি সঙ্গে নিয়েই রবিবার কলকাতায় ফিরবেন।
দলকে উজ্জীবিত করতে ফিনল্যান্ড থেকে উড়ে আসছেন চোট পেয়ে ফিরে যাওয়া মিডফিল্ডার জনি কাউকো। আসছেন চোটের জন্য পুরো মরশুম খেলতে না পারা স্প্যানিশ ডিফেন্ডার তিরি। কলকাতা থেকে এক ঝাঁক সমর্থক আসছেন শনিবারের ফাইনাল দেখতে। তাদের মধ্যে থাকছেন যুবভারতীর লজেন্স মাসিও। যিনি যুবভারতীতে ম্যাচ থাকলেই গ্যালারি চষে বেড়ান তাঁর লজেন্সের বয়াম নিয়ে। দেশের অন্যান্য শহর থেকেও দলে দলে সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা পৌঁছে যাবেন গোয়ায়। যেখানে ফাইনালকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে উৎসব। সব মিলিয়ে টগবগ করে ফুটছে সবুজ-মেরুন শিবির।