লিগ টেবলে চার নম্বরে উঠে এল সবুজ-মেরুন।
কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় সাড়ে বাষট্টি হাজার দর্শকের সামনে শনিবার রাতে শুধু যে এটিকে মোহনবাগান জিতল, তা নয়, জয় হল ফুটবলেরও। অনেক দিন পর কলকাতার দুই প্রধান ক্লাবকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে দেখল বাংলার ফুটবলপ্রেমী জনতা। চলতি হিরো আইএসএলের প্রথম কলকাতা ডার্বি ২-০-য় জিতে এটিকে মোহনবাগান শেষ হাসি হাসলেও ইস্টবেঙ্গল এফসি যে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় তাদের, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
শেষ পর্যন্ত টানা পাঁচবার হিরো আইএসএলের কলকাতা ডার্বি জিতে উচ্ছ্বাসে মাতলেন যুবভারতীতে উপছে পড়া সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে পরপর দু’টি গোল করে বাজিমাত করল তাদের প্রিয় দল। ৫৬ মিনিটের মাথায় হুগো বুমৌস ও ৬৬ মিনিটের মাথায় মনবীর সিং গোল করে দলকে জেতালেও দু’টি গোলের জন্যই তাঁরা কৃতজ্ঞ থাকবেন লাল-হলুদ গোলকিপার কমলজিৎ সিংয়ের প্রতি। দুই গোলদাতার কৃতিত্ব ছাড়াও কমলজিতের অপ্রত্যাশিত ভুলও এই জোড়া গোলের অন্যতম উপাদান।
গোলদুটি বাদ দিলে সারা ম্যাচে লাল-হলুদের লড়াই ছিল মনে রাখার মতো। গত দু’বছরে আইএসএলের কলকাতা ডার্বিতে এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়নি। গোলের সংখ্যা ও বল দখলের লড়াইয়ে (৫৫-৪৫) এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে থাকলেও ফুটবল-যুদ্ধের তীব্রতা চরমে পৌঁছয়। অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান সবুজ-মেরুন শিবিরের ফরাসি তারকা হুগো বুমৌস। শুধু গোল করা নয়, অপর গোলে ও একাধিক আক্রমণে তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান তিনিই। এই জয়ের ফলে লিগ টেবলে চার নম্বরে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল এফসি রয়ে গেল আট নম্বরেই।