টানা তৃতীয় জয় তুলে পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে।
ম্যাচের বয়স তিন মিনিটেই বার্সেলোনার জালে বল জড়িয়ে গিয়েছিল! কিন্তু তা অফসাইডে বাতিল হয়ে যায়। তবে শুরুর ওই ধাক্কাতেই ম্যাচের প্রথম আধ ঘণ্টা কিছুটা যেন গুটিয়েই ছিল বার্সেলোনা। এ সময়ে বার্সা গোল করেছে, গোল হজমও করেছে, কিন্তু ম্যাচে নিয়ন্ত্রকের ভাবটা ঠিক ফুটে ওঠেনি।
বেলগ্রেডের রাইকো মিতিচ স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা প্রথম গোলের দেখা পায় ১৩তম মিনিটে। রাফিনিয়ার ফ্রি কিক থেকে হেডে দলকে এগিয়ে দেন ইনিও মার্তিনেজ। তবে ২৭তম মিনিটে সিলাস এমভুমপার গোলে সমতা নিয়ে আসে বেলগ্রেড।
বিরতির আগে ৪৩তম মিনিটে রাফিনিয়ার কাছ থেকে পাওয়া বলে বার্সেলোনাকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লেয়নডস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রাফিনিয়ার বাড়ানো বল ধরে ব্যবধান ৩-১ করার সুযোগ ছিল পোলিশ তারকার সামনে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বল পোস্টের বাইরে পাঠান তিনি। তবে দ্বিতীয় গোলের আক্ষেপে অবশ্য বেশিক্ষণ পুড়তে হয়নি তাঁকে। ৫৩তম মিনিটে জুলস কুন্দে ডান পাশ থেকে বক্সের সামনে এমন এক বল বাড়ান, লেভাকে শুধু দাঁড়িয়ে থেকে শরীরটা গোলমুখী করে গায়ে লাগাতে হয়েছে।
লেয়নডস্কির করা দ্বিতীয় গোলটি ছিল উয়েফার প্রতিযোগিতায় বার্সার ৭০০তম।
বার্সেলোনা পরে আরও দুটি গোল পায় জুলস কুন্দের সৌজন্য। এই ফরাসি রাইট ব্যাকের অ্যাসিস্টে ৫৫তম মিনিটে গোলদাতার খাতায় নাম লেখান রাফিনিয়া, ৭৪তম মিনিটে ফারমিন লোপেজ। ৫-১ গোলে পিছিয়ে যাবার পর ৮৪তম মিনিটে মিলসনের সৌজন্যে আরেকটি গোল শোধ করে বেলগ্রেড। যদিও শেষ দিকে লোপেজ একটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বড়ই হতো। মোনাকোর কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা বার্সেলোনা টানা তৃতীয় জয় তুলে পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে উঠে এসেছে। ৩৬ দলের মধ্যে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে লিভারপুল।