বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয়।
এ যেন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি জেগে গিয়েছে। অস্কার ব্রুজো দায়িত্ব নেওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল দলকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রথম ম্যাচে পারো এএফসির বিরুদ্ধে ড্র করেছিল লাল-হলুদ। ওটি ব্রুজোর ছিল মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ। তৃতীয় ম্যাচেই সফল তিনি। মঙ্গলবার এএফসিতে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জিতল ইস্টবেঙ্গল। বিদেশী দলের বিরুদ্ধে ভাল খেলে নিজেদের জয়ের ট্র্যাক রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখল । টানা নয় ম্যাচ পর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। এই জয়ের ফলে এফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার সম্ভাবনা বাড়ল লাল হলুদ শিবিরের। এবং বসুন্ধরা কিংস প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল।
এদিন শুরু থেকেই তেতে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৩৩ সেকেন্ডে দিমিত্রিয়স গোল করে লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন। কিক অফের শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ার পরে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। ৩৩ সেকেন্ডে করা গোলটি যে কোনো 'এ এফ সি' প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম গোলের একটি রেকর্ড I
এরপর ম্যাচের ২০ মিনিটে বাঁ পায়ের বুলেট শটে গোল করে লাল-হলুদের পক্ষে ব্যবধান বাড়ান সৌভিক চক্রবর্তী। ম্যাচের ২৬ মিনিটে তৃতীয় গোল করে ইস্টবেঙ্গল। এবার গোল করেন নন্দকুমার। এরপর আনোয়ার আলি গোল করে ৪-০ করেন। বিরতির সময় চার গোলেই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। এদিন বসুন্ধরাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে লাল-হলুদের ফুটবলাররা। একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে বসুন্ধরার পেনাল্টি বক্সে। আসলে বসুন্ধরা দলটিকে একেবারে হাতের তালুর মতোই চেনেন অস্কার। দীর্ঘদিন এই ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন তিনি। ফলে ফুটবলারদের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল ব্রুজো। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করল অস্কারের ইস্টবেঙ্গল।