আট ম্যাচ হারের পরে এএফসিতে পয়েন্ট পেল লাল-হলুদ।
অচেনা পরিবেশের সঙ্গে যে তারা মানিয়ে নিতে পারেনি, তা শনিবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামের কৃত্রিম ঘাসের মাঠে ছন্দ হারানো ইস্টবেঙ্গল ভুটানের পারো এফসি’র বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত এক পয়েন্ট নিয়ে ম্যাচ শেষ করল।
এ দিন ম্যাচের শুরুতেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের ফরাসী মিডফিল্ডার মাদি তালাল। কিন্তু সেই ব্যবধান তারা মিনিট তিনেকের বেশি ধরে রাখতে পারেনি। আট মিনিটের মাথায় উইলিয়াম ওপোকু পোনাল্টি থেকে গোল শোধ করে ফের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন পারো এফসি-কে। বিরতির ঠিক আগে ইভান্স আসান্তের গোলে এগিয়ে যায় ভুটানের দল। অনেক চেষ্টা ও ব্যর্থতার পর দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস সেই গোল শোধ করেন ৬৯ মিনিটের মাথায়। এ দিন আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরুর ফল দ্রুত পায় ইস্টবেঙ্গল, যখন ডানদিক দিয়ে ওঠা সল ক্রেসপো মাদি তালালের উদ্দেশে নিখুঁত এক কাট ব্যাক করেন এবং তেমনই এক নিখুঁত শটে জালে বল জড়িয়ে দেন তালাল।
এক গোলে পিছিয়ে থাকা পারো এফসি এর জবাব দিতে বেশি সময় নেয়নি। সেই সুযোগ তাদের করে দেয় ইস্টবেঙ্গলই। আসান্তেকে নিজেদের বক্সের মধ্যে ফাউল করেন আনোয়ার আলি। রেফারি পেনাল্টি দেন পারোকে। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন ওপোকু।সমতা আনার পর হোম টিম বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায় এবং কলকাতার দলকে চাপে ফেলে দেয়। কোকি নারিতার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। এরপর কর্নার থেকে তোমোয়োকি উনোর পায়ে লেগে গোলের দিকে যাওয়া বল কোনও রকমে আটকান গোলকিপার গিল।
ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের অতিরিক্ত হাইলাইন ফুটবলই তাদের সমস্যায় ফেলে। বিরতির ঠিক আগে স্টপেজ টাইমের তৃতীয় মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের এক কর্নারের পরই এক দ্রুত গতির কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আসান্তে। সেন্টার লাইন থেকে দৌড়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে গিলকে পরাস্ত করে গোল করে আসেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষকে বেশ চাপে রাখে পারো। তবে প্রায়ই পাল্টা আক্রমণে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। একদিকে যেমন পারোর কাজুও হোমা গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন, তেমনই বক্সের বাইরে থেকে দিয়ামান্তাকসের জোরালো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হলেও পরবর্তী সুযোগটি তিনি নষ্ট করেননি। ডানদিক দিয়ে ওঠা নন্দকুমার শেকরের ক্রসে গোলের সামনে থেকে গোলে বল ঠেলে দেন গ্রিক ফরোয়ার্ড। তবে এর পরে আর তারা প্রতিপক্ষের গোলের মুখ খুলতে পারেনি।