নজরে লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়ানরা।
প্রতিবারই আইএসএল জন্ম দেয় এক ঝাঁক নতুন প্রতিভার, যাঁরা পরবর্তী কালে দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। এ বারও নিশ্চয়ই তার ব্যতিক্রম হবে না। এ বার লিগের কোন ভারতীয় তারকারা ফুটবলপ্রেমীদের নজর কাড়তে পারেন?
সহাল আব্দুল সামাদ (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি)
গত মরশুমের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর সহাল আব্দুল সামাদকে নিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের সমর্থকদের নিয়ে অনেক আশা।
আশিক কুরুনিয়ান, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, এটিকে মোহনবাগান
বেঙ্গালুরু এফসি-তে তিন মরশুম কাটানোর পরে কেরালার মলপ্পুরম থেকে উঠে আসা মহম্মদ আশিক কুরুনিয়ান এ বছর জুনে যোগ দেন সবুজ-মেরুন শিবিরে। গত মরশুমে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে ১৩টি ম্যাচে খেলেন তিনি। জানুয়ারির শেষ দিকে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পাওয়ার পরে ফিরে এসে শুধু একটি ম্যাচে খেলেছিলেন, এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে।
লিস্টন কোলাসো (ফরোয়ার্ড, এটিকে মোহনবাগান)
গতবার যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এটিকে মোহনবাগানের এই গোয়ানিজ ফরোয়ার্ড, তার পরে এই মরশুমে তাঁর কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা বাড়াই স্বাভাবিক এবং সেটাই হতে চলেছে। কোলাসো যে ভাবে গত বার অসাধারণ কিছু গোল করে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিকের জায়গায় নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, এ বারও তিনি সে রকম কিছু করবেন, এমনই আশা সবুজ-মেরুন সমর্থকদের।
সন্দেশ ঝিঙ্গন (সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার, বেঙ্গালুরু এফসি)
চার বছর কেরালা ব্লাস্টার্স ও দু’বছর এটিকে মোহনবাগানের হয়ে খেলার পরে এ বার বেঙ্গালুরু এফসি-তে যোগ দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা এই স্টপার আগেও বেঙ্গালুরুর জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন।
লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণি (গোলকিপার, হায়দরাবাদ এফসি)
গত আইএসএল ফাইনালে কার্যত একাই দলকে চ্যাম্পিয়নের খেতাব এনে দিয়েছিলেন এই গোলকিপার। টাইব্রেকারে তিনটি পেনাল্টি শুট বাঁচিয়ে তিনি সেই ফাইনালের নায়ক হয়ে ওঠেন।