প্রতিপক্ষকে গুরুত্ব দিচ্ছেন স্টিমাচ।
লক্ষ্য আগামী জানুয়ারিতে এএফসি এশিয়ান কাপে ভালো ফল করে দেশে ফেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ভাবনাটা অবাস্তব। কিন্তু ভারত যদি এশিয়ার সেরা আন্তর্দেশীয় টুর্নামেন্টের নক আউট রাউন্ডেও ওঠে, তা হলে সেটাই হবে ঐতিহাসিক ঘটনা। কিন্তু সেই ঘটনা ঘটাতে গেলেও যে পরিমান পরিশ্রম ও পরিকল্পনামাফিক পারফরম্যান্স প্রয়োজন, তা ভারত দিতে পারবে কি না, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
২০২১-এর অক্টোবর থেকে ভারতীয় ফুটবল দল যে ১৩টি ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরেছে তারা, দুটিতে ড্র করেছে ও আটটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচের তত্ত্বাবধানে তারা হেরেছে বেলারুশ, জর্ডন ও বাহরিনের কাছে। যারা সবাই ফিফা ক্রমতালিকায় তাদের ওপরে। তালিকায় কাছাকাছি থাকা দলগুলির বিরুদ্ধে বেশিরভাগই জিতেছে তারা।
আজ থেকে ভুবনেশ্বরে শুরু হতে চলা হিরো ইন্টারকনিটনেন্টাল কাপে সে রকম দল একটিই, লেবানন। যারা ভারতের চেয়ে মাত্র দু’ধাপ ওপরে। বাকিরা সবাই ভারতের চেয়ে পিছিয়ে। প্রথম প্রতিপক্ষ মঙ্গোলিয়াকে অবশ্য কোনও মতেই হালকা ভাবে নিতে চান না কোচ ইগর স্টিমাচ।তিনি টুর্নামেন্টের প্রথম প্রতিপক্ষকে নিয়ে বলেন, “মঙ্গোলিয়া বেশ শক্তিশালী ও সঙ্ঘবদ্ধ দল। ওরা আগ্রাসী ফুটবল খেলে। ম্যাচের প্রথম ২৫-৩০ মিনিট ওরা মাঝমাঠ সঙ্ঘবদ্ধ রেখে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে। বল পায়ে রাখার চেষ্টা করে। আমাদের এই সময়ে শারীরিক ভাবে সঠিক জায়গায় থাকতে হবে এবং ভার্টিকাল ফুটবল খেলতে হবে। ভালো মুভ করতে হবে”। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ইউটিউব চ্যানেলে কথাগুলি বলেন তিনি।