তবুও আশাবাদী স্টিমাচ।
সুনীল ছেত্রীর ১৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না তাঁর সতীর্থরা। সুনীল নিজে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই ১৮ মিনিটের মধ্যে দু-দু’টি গোল করে ভারতকে হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান।
ভারতীয় ফুটবলারদের সেই পুরনো রোগই তাদের ফের ব্যর্থতার অন্ধকারে ঢেকে দেয় এ দিন। একাধিক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে এ বার বিশ্বের ১৫৮ নম্বর দেশের কাছেও হারতে হল তাদের। যে ম্যাচ অন্তত তিন গোলে জেতা উচিত ছিল, ঘরের মাঠে সেই ম্যাচ ১-২-এ হেরে মাঠ ছাড়লেন ইগর স্টিমাচের দলের ফুটবলাররা।
এ দিন সুনীলের ৩৮ মিনিটের গোলে ৬৯ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থাকার পর ৭০ মিনিটে রহমত আকবরি ও ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে শরিফ মুখম্মদের গোলে অপ্রত্যাশিত ভাবে ম্যাচ জিতে নেয় আফগানিস্তান। এই হারের ফলে অবশ্য চার পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের এশীয় বাছাই গ্রুপে দু’নম্বরেই রয়ে গেল। চার ম্যাচে আফগানিস্তানেরও চার পয়েন্ট। কিন্তু গোলপার্থক্যে ভারতের (-৩) চেয়ে তারা (-১০) পিছিয়ে থাকায় এখন তিন নম্বরে উঠে এল তারা।
এ দিনের অপর ম্যাচে (ভারতীয় সময়ে বুধবার রাত ১২.৩০-এ) যদি কাতারের কাছে হেরে যায় তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের একেবারে নীচে থাকা কুয়েত, তা হলে দুই দলই স্বস্তি পাবে। কিন্তু উল্টো ফল হলে বা ড্র হলে ভারতকে সরিয়ে দু’নম্বর জায়গাটা দখল করবে এই কুয়েতই। এশীয় বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় হারের ফলে ভারতের তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা কঠিন হয়ে গেল। এই রাউন্ডের গণ্ডী পেরোতে গেলে জুনের প্রথম সপ্তাহে ঘরের মাঠে কুয়েতের বিরুদ্ধে জিততেই হবে সুনীল ছেত্রীদের। কাতারের বিরুদ্ধেও ভাল খেলতে হবে তাদের।
ম্যাচের শেষে সম্প্রচারকারী সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের কোচ স্টিমাচ জানিয়ে দেন, তিনি দলের খেলায় একেবারেই খুশি নন। তবে আশাবাদী, জুনের দুই ম্যাচের আগে প্রস্তুতির অনেক সময় পাবেন। তখন সমস্যাগুলো দূর করে কুয়েতের বিরুদ্ধে এর চেয়ে ভাল পারফরম্যান্স দেখাবে ও জয়ে ফিরবে তাঁর দল।