• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ফুটবল

মোহনবাগান চায় বদলা, সন্মান ফেরৎ চায় ইস্টবেঙ্গল এফসি

আজ ডুরান্ড ফাইনালে চড়ছে ডার্বি-উত্তাপের পারদ।

টালা থেকে টালিগঞ্জ, বরাহনগর থেকে বেহালা—সর্বত্র একটাই আবদার রবিবারের ডুরান্ড কাপ ফাইনালে কলকাতা ডার্বির একটা টিকিট হবে? যার কাছে সেই মহার্ঘ্য টিকিট, সে-ই একদিনের জন্য রাজা।

বহু কাল পর একটা রক্ত গরম করা ডার্বি দেখার আশায় রয়েছে বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। সপ্তাহ তিনেক আগে যেমন দেখা গিয়েছিল কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে, সেখানেই ফের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের সেরা দ্বৈরথের দুই যুযুধান পক্ষ।

আবার একটা কলকাতা ডার্বি। শতাধিক বর্ষের এই চিরপ্রতিদ্বন্দিতার জনপ্রিয়তা যে কোনও দিন কমবে না, তা এই ম্যাচ শুরু হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা আগে কলকাতার আনাচে কানাচে পাওয়া খণ্ডচিত্রগুলি দেখলেই বোঝা যায়।

চিত্র ১- ময়দানে দীর্ঘ সর্পিল লাইন। যারা দাঁড়িয়ে, তারা জানে এই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পাওয়া অনিশ্চিত। তবু ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দাঁড়িয়ে তারা।

চিত্র ২- সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই পোস্ট দেখা যাচ্ছে, ‘আমার কাছে ডার্বির চারটে টিকিট রয়েছে, কারও লাগলে ইনবক্স করুন’। যে বা যারা এই ধরনের পোস্ট করছে, তার ইনবক্স উপচে পড়ছে পাল্টা বার্তায়, ‘যত টাকা লাগবে দেব। কোথা থেকে কখন টিকিট নিতে হবে জানান’।

চিত্র ৩- দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্লাবের সমর্থকদের বিক্ষোভ। তারা কেন পর্যাপ্ত টিকিট পাচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ দুই ক্লাবের তাঁবুর সামনে। তাতেও সুরাহা হওয়ার আশা কম। কারণ, একটি টিকিটও না কি আর পড়ে নেই। সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

এমন অসংখ্য ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ফুটবল-মক্কার বিভিন্ন প্রান্তে। সব ওই ৯০ মিনিটের এক ফুটবল-যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। যা চিরকালীন, কালজয়ী। এ সব দেখে একটা জিনিসই বোঝা যাচ্ছে, রবিবার বিকেলে ভরে উঠবে যুবভারতীর গ্যালারি, উপছেও যেতে পারে। একদিকে ‘জয় মোহনবাগান’, অন্যদিকে ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’ শব্দব্রহ্মে নিশ্চয়ই কেঁপে উঠবে রবিবাসরীয় কলকাতা।

আত্মবিশ্বাসের স্তর বাড়তে পারে। কিন্তু দলটা কি পুরোপুরি তৈরি? এএফসি কাপের ম্যাচে সেরা পারফরম্যান্স না দেখিয়েও ঢাকা আবাহনীকে ৩-১-এ হারানোর পর মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো বলেছিলেন, তাঁর দল সবে ৫০ শতাংশ তৈরি হয়েছে। শনিবার ডুরান্ড ফাইনালের আগেও কিন্তু তাঁর মুখে প্রায় একই কথা। বললেন, “এখনও আমরা প্রায় সেই জায়গাতেই রয়েছি। নিজেদের যে ঠিকমতো তৈরি করব, সে জন্য আমরা তো ঠিকমতো অনুশীলনই করতে পারছি না। গত দশদিনে চারটে ম্যাচ খেলতে হয়েছে আমাদের। সে জন্য ম্যাচ, ম্যাচের পর রিকভারি, আবার পরের ম্যাচের প্রস্তুতি এই ভাবেই চলছি আমরা। দলের সার্বিক প্রস্তুতির সুযোগই পাচ্ছি না। এই ডুরান্ড শেষ হলে ভাবছি ফের প্রাক-মরশুম প্রস্তুতি শুরু করব”।

 

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top