ট্রেবল জয়ের মুখে মোহনবাগান।
শনিবার কলকাতায় আবার ডার্বি। যে জন্য গোটা কলকাতা, তথা গোটা বাংলা ফের দ্বিখণ্ডিত। ময়দানে টিকিটের জন্য চেনা হাহাকার, চেনা সর্পিল লম্বা লাইন, একে অপরকে দেখে দুই দলের সমর্থকদের আস্ফালন, শহরের আনাচে কানাচে ঘটি-বাঙালের অঘোষিত যুদ্ধ, কোথাও তা অম্ল-মধুর, কোথাও বেশ সরগরম।
ডার্বিতে সেরা দল মাঠে নামানো প্রায় অসম্ভব, তা কার্যত স্বীকারই করে নেন ফেরান্দো। বলেন, “আমাদের একই সঙ্গে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ ও এএফসি কাপের ম্যাচে ভাল দল নামাতে হচ্ছে, যেটা খুবই কঠিন। তবে আমাদের ক্লাব বড় ক্লাব, প্রতি ম্যাচেই আমরা জেতার জন্য খেলি। আমাদের কাছে সব ট্রফিই গুরুত্বপূর্ণ, এটাই সত্যি। আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। ফুটবলে সব ম্যাচই কঠিন। প্রতি ম্যাচ ধরে ধরে এগোচ্ছি আমরা। এটাই করে যেতে হবে আমাদের”।
বেঙ্গালুরু এফসি-কে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিলেন, সেই কার্লস কুয়াদ্রাত। তিনি এই ডার্বিকে একটু অন্য ভাবে দেখছেন। তাঁর কাছে এই ম্যাচ যতটা না মর্যাদার লড়াই, আট হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই, তার চেয়েও বেশি বোধহয় নিজেদের তৈরি করে নেওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ। তাঁর কথায় সে রকমই ইঙ্গিত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ওরা (মোহনবাগান) ইতিমধ্যেই ছপয়েন্ট জিতে নিয়েছে এবং পরের ধাপের দিকে এগিয়ে গেছে। আমাদের মাত্র এক পয়েন্ট আছে এবং পরের পর্বে পৌঁছতে গেলে অনেক লড়াই করতে হবে আমাদের। এই অবস্থায় ওরা অবশ্যই এগিয়ে। তবে আমাদের দল যেহেতু এখন তৈরি হচ্ছে এবং এই ম্যাচটা আমরা একটা বড় দলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাচ্ছি, ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সুযোগটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। চরম পর্যায়ে নিজেদের ভাল-মন্দগুলো এ থেকেই খুঁজে বের করে নিতে হবে। পাশাপাশি এই ম্যাচে আমরা ভালও খেলতে চাই। যাতে সমর্থকেরা উজ্জীবিত হয়, আমরা নিজেরাও আত্মবিশ্বাস পাই”।