আগামী ৪ জুন থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ।
আগামী ৪ জুন থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। তারপরই ১০ জুন এশিয়ান কাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রতিপক্ষ হংকং। ইতিমধ্যেই কোচ মানোলো মার্কুয়েজের অধীনে কলকাতায় শুরু হয়েছে প্রস্তুতি শিবির। মঙ্গলবার রাজারহাট সেন্টার ফর এক্সেলেন্সে অনুশীলনের পর শুভাশিস জানালেন, দুটো সিরিজেই কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। তবে ভালো খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তাঁরা।
আসলে হংকংয়ের বিরুদ্ধে না জিতলে ভারতের কাজটা কঠিন হয়ে পড়বে। সেখানে ডিফেন্সে বাড়তি দায়িত্ব থাকবে বঙ্গফুটবলারের উপর। শুভাশিস যদিও চাপ নিচ্ছেন না। তিনি বললেন, ‘আমার কাছে সব আন্তর্জাতিক ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের হয়ে খেলা সৌভাগ্যের। নিজের সেরাটা দিতে মাঠে নামব।’ সেখানে কি আত্মবিশ্বাস জোগাবে ক্লাবের হয়ে দুরন্ত ফর্ম? শুভাশিস সেসব মাথায় রাখতে চাইছেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার ক্লাব মরসুম ভালো গিয়েছে। তার জন্য নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। দেশের হয়ে বাড়তি ভালো খেলতে উৎসাহ জোগাবে। সবই ঠিক আছে। কিন্তু যেটা অতীত, সেটা অতীত। এখন যেটা বর্তমান সেটা হল, দেশের হয়ে দুটো ম্যাচ। সেখানে নিজের সেরাটা দিতে চাই।’
পাশাপাশি গত ম্যাচগুলোতে ভারতীয় দলের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সব ম্যাচ সমান যায় না। একসঙ্গে টিম হিসাবে খেললে ক্লিনশিট আর গোল দুটোই আসবে। আমাদের দলে প্রতিভাবান স্ট্রাইকার ও মিডফিল্ডার, সবই আছে। তারা আমাদের গোল এনে দেবে। তাছাড়া সুনীল ভাইও আছে। আমার বিশ্বাস পরের দুটো ম্যাচে গোল আসবে। ক্লিনশিটও বজায় রাখতে পারব।’
একইসঙ্গে সুনীলের অতীতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোহনবাগানের অধিনায়ক বললেন, ‘২০১৮-১৯ মরসুমে সুনীল ভাই ১৪ গোল করেছিল। এবারও তাই করেছে। ও তো নিজের সেরা ফর্মে আছে। দেশের হয়ে যেভাবে সুনীল ভাই গোল করে এসেছিল, সেভাবেই গোল করবে বলেই বিশ্বাস।’ প্রস্তুতি শিবিরে সুনীল ছেত্রী যেমন আছেন, তেমন আছেন মোহনবাগানের তরুণ প্রতিভা সুহেল ভাট। শুভাশিস আশাবাদী কাশ্মীরী প্রতিভাকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘সুহেলের মধ্যে প্রতিভা আছে বলেই এত দূর এগোতে পেরেছে। ওর মধ্যে ভালো করার খিদে আছে। সুপার কাপে সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করেছে। গোলও করেছে। তবে যে কোনও প্লেয়ারকেই সময় দিতে হবে।’