সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে খেলাশ্রী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন।
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কবিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতার সুবিধা বহুদিন ধরেই পেয়ে আসছেন রাজ্যবাসী। এবার খেলোয়াড়দের জন্যও পেনশন ঘোষণা করলেন ‘দিদি’।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে খেলাশ্রী অনুষ্ঠানে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রাক্তন খেলোয়াড়দের মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন দেবে রাজ্য। বাংলায় প্রায় দুই হাজার প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই এই সুবিধা পাবে। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলের ভক্ত। আপনাদের জন্য আমি গর্ব বোধ করি। এবার থেকে সমস্ত প্রাক্তন ক্রীড়াবিদের এক হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। এক হাজার টাকাটা হয়তো বড় কোনও অঙ্ক নয়। তবে রাজ্য সরকারের তরফে একটা সাম্মানিক হিসাবে এটা দেওয়া হবে।’
এর পাশাপাশি উঠতি তারকাদের জন্য নয়া প্রকল্পের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। মমতা বলেন, ‘খেলাধুলোর উন্নতি আমরা সবসময় চাই। আমি চাই বাংলার ফুটবল সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিক। খেলা হল এমন একটা জায়গা যেখানে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ- সবাই এক ছাতার তলায় থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে। শারীরিক পরিশ্রম থেকে মানসিক ভাবনা, সব দিক থেকেই খেলোয়াড়রা দক্ষ হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করব। যেখানে আমরা কিছু ছেলে-মেয়েকে প্রশিক্ষণ দেব। এমনকি, তারা যদি উন্নত মানের প্রশিক্ষণের জন্য বা খেলার জন্য বাইরে বাইরে যেতে চায়, তাহলে তার সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।’
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, খেলাধুলোয় যারা ভালো, তাদের দিকে আলাদা ভাবে নজর দিতে হবে। যাতে তারা অন্যত্র চলে না যায়। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করা হয় জাতীয় হকি দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক বীর বাহাদুর ছেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পদক এবং ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তাঁর হাতে। ১৯৮০ সালে অলিম্পিকে সোনা জয়ী ভারতীয় হকি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বীর বাহাদুর।
এছাড়া জয়দীপ কর্মকার, ভারতীয় ঘোষ সহ মোট সাতজনকে ক্রীড়া গুরু সম্মান প্রদান করা হয়। দীপক মণ্ডন, দুলাল বিশ্বাস, সন্দীপ নন্দী, সূর্যশেখর গাঙ্গুলি, পিঙ্কি প্রামাণিক, মান্তু ঘোষ সহ মোট ২৬ জন ক্রীড়াবিদ বাংলার গৌরব সম্মানে ভূষিত হন। গৌতম দে, মেহুলি ঘোষ সহ ১৬ জন পান খেল সম্মান।
সদ্য প্রয়াত টেনিস কিংবদন্তি আখতার আলিকে শ্রদ্ধা জানাতে অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় এদিন। এরপরই নেতাজি ইন্ডোর থেকে দূরাভাষের মাধ্যমে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে অন্যতম কিশোর ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনের উদ্বোধন। এছাড়া হাওড়ার ডুমুরজলা এলাকায় সবুজসাথী ক্রীড়াঙ্গনেরও শিলান্যাস হয় এদিন।