• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > অন্যান্য

সূর্যোদয়ের দেশে পুনর্জন্ম ভারতীয় মহিলা হকি দলের


‍রানিদের হাত ধরে ‘চক দে’র চিত্রনাট্য বাস্তবের সরণিতে।

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

পঞ্জাবের গুরজিত কউর নাকি হরিয়ানার গোলরক্ষক সবিতা পুনিয়া! কৃতিত্বটা কার বেশি?
কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে অলিম্পিক্সে মহিলাদের হকিতে শেষ চারে পা রাখল ভারত। রূপকথার প্রত্যাবর্তন নাকি চিত্রনাট্যের বাস্তবিক রূপ, এ নিয়ে তর্ক চলবেই। কিন্তু সোমবারের পর সারা দেশের ক্রীড়ামহল জুড়ে আলোচনার টপিক একটাই, ভারতীয় মহিলা হকি দল। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ-এর মঞ্চে প্রথমবার সেমিফাইনালে রানি রামপাল-শর্মিলা দেবীরা।
গ্রুপ লিগে মাত্র দু’টি ম্যাচ জিতে পুল-এ থেকে চতুর্থ দল হিসেবে কোনও মতে নকআউটে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়া সেখানে পুল-বি’র পাঁচটি ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে এক নম্বরে ছিল। এমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে উঠবেন সোয়ের্দ মারিনের শিষ্যারা, তা হয়তো অতি বড় সমর্থকও ভাবতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই ইতিহাস গড়ার পর রানিদের সেলিব্রেশনও ছিল বাঁধনছাড়া।
ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। বলা বাহুল্য, পুরো ম্যাচে সেটিই ভারতের শেষ কর্নার ছিল। এক সুযোগেই বাজিমাত! গুরজিত কউরের অনবদ্য গোলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। এরপর গোটা ম্যাচ জুড়ে অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণের ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়তে থাকে ভারতীয় বক্সে। বুক চিতিয়ে গোলের সামনে দাঁড়িয়ে অজিদের একের পর এক প্রয়াস সামলাতে থাকেন সবিতা পুনিয়া। মোট নয়টি পেনাল্টি কর্নার পায় তিনবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ভারতীয় দলের নয়া ‍‘দ্য ওয়াল’-এ এসে প্রতিহত হয় সবকটিই। ফলস্বরূপ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয় বিশ্বের দু’নম্বর অস্ট্রেলিয়াকে।
আসলে পঞ্জাব বা হরিয়ানা নয়, ‍‘চক দে’র কারিগর একা গুরজিত বা সবিতাও নন, কৃতিত্বটা ভারতীয় মহিলা হকি দলের।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top